কমছে না ভাঙন, চিন্তায় বাসিন্দারা

এ দিনের ভাঙনে বেশ কিছু বাড়ি, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোচবিহার সদরের মহকুমা শাসক অরুন্ধুতী দে বলেন, “শহর লাগোয়া এলাকায় ভাঙনের সমস্যা বেশি।’’ বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জল না কমলে মেরামতির কাজ করতে সমস্যা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ০২:২৮
Share:

কোচবিহার শহর লাগোয়া এলাকায় তোর্সার ভাঙনে ইতিমধ্যে ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি খুইয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ধারে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। বুধবার দিনহাটার জারিধরলা, গীতালদহ, হরিদাসখামার, মরাকুঠি এলাকায় বানিয়াদহ, ধরলা নদীর ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। যা আরও চিন্তা বাড়িয়েছে স্থানীয়দের।

Advertisement

এ দিনের ভাঙনে বেশ কিছু বাড়ি, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোচবিহার সদরের মহকুমা শাসক অরুন্ধুতী দে বলেন, “শহর লাগোয়া এলাকায় ভাঙনের সমস্যা বেশি।’’ বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জল না কমলে মেরামতির কাজ করতে সমস্যা হবে। জল কমলেই সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান, কোচবিহারের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র স্বপন সাহা।

যদিও সোমবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারাই। বুধবার জেলার সব নদীর জল কমেছে। ত্রাণ শিবির ছেড়েও অনেকে ঘরে ফিরেছেন। কিন্তু কমছে না ভাঙন। বুধবারও তোর্সার ভাঙন চলে কোচবিহার পুরসভার বাঁধের পাড় লাগোয়া একাধিক ওয়ার্ডে। ভাঙনের জেরে বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হয় বহু বাসিন্দাকেই। চোখের সামনে বসতবাড়ি, ভিটে মাটি জলে তলিয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীতি দাস। লাগোয়া রাস্তার উপর আশ্রয় নিতে হয়েছে তাঁকে। ওই ওয়ার্ডেরই কাজিরন বিবি, জয়নাল মিঁয়া, চাঁদমোহন দাস সবার এক অবস্থা। দলবেঁধে ঘরবাড়ি ভেঙে, আসবাব পত্র গুটিয়ে নিরাপদে সরাতেই দিনকেটে গিয়েছে শতাধিক বাসিন্দার। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ বলেন, “স্পার বাঁধ করতে সেচ দফতর ও প্রশাসনকে বলব।” ভাঙন ঠেকাতে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কোচবিহার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘বহুবার বলেও কাজ হয়নি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন