বাড়ানো হল পার্থর দেহরক্ষী

নদিয়ার বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল কোচবিহার জেলা পুলিশ। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের নিরাপত্তারক্ষী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৪
Share:

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

নদিয়ার বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল কোচবিহার জেলা পুলিশ। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের নিরাপত্তারক্ষী। এতদিন তিনি এক জন দেহরক্ষী নিয়ে চলতেন। রবিবার তাঁকে আরও একজন দেহরক্ষী দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন থানার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলা পুলিশ সুপার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সাংসদ ও বিধায়কদের দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীদের চটজলদি ছুটির ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়েছে। কারও ছুটির প্রয়োজন হলে আগাম আবেদন করতে হবে, সেই জায়গায় একজনকে দায়িত্ব দেওয়ার পরেই স্থায়ী দেহরক্ষীর ছুটি মিলবে। এ ছাড়াও মন্ত্রী, বিধায়ক বা সাংসদদের নিরাপত্তাতে আরও জোর আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক বিধায়ক নিরাপত্তায় জোর আনা নিয়ে সওয়ালও করেছেন।

কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়ে নিয়মিত কথা হয় রিভিউ মিটিংয়ে। সেই হিসেবে সব জায়গায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।”

Advertisement

কোচবিহার বরাবর রাজনৈতিক ভাবে উপদ্রুত এলাকা বলে পরিচিত। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দিনহাটা ও সিতাই বিধানসভার মতো এলাকা নিয়ে চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসন। ওই সব এলাকায় একাধিকবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। বোমা-গুলিতে জখম হয়েছে বহু। খুনও হয়েছে একাধিক। জেলায় একাধিক বার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাও বেড়েছে। তার জেরেও উদ্বেগ বেড়েছে।

তৃণমূল সূত্রেই খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে কয়েক মাস আগে দেওয়ানহাটেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকেও হামলার মুখে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনার পরে কেউ আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “গীতালদহের মতো জায়গায় যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকলে মিটিং করা যাবে না। এই এলাকায় বহু জায়গায় কাঁটাতার নেই। দুষ্কর্ম করে অপরাধীরা যে কোনও সময় অন্য দেশে ঢুকে যেতে পারে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনার পরেই নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতেই বৈঠক হয়েছে। কোন বিধায়ক বা সাংদদের কতটা ঝুঁকি রয়েছে, বা কারও হামলার আশঙ্কা রয়েছে কি না তা নিয়েই কথা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন