প্রতিটি বিষয়েরই উত্তরপত্র দেখা যাবে।—ফাইল চিত্র
মাধ্যমিকের মতোই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যার হিসেবে কোচবিহার জেলায় ছেলেদের থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
আগামী ২৬ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কোচবিহারে এ বার ২৮,৭২৩ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১২,৫৮১ জন ছাত্র। ছাত্রীর সংখ্যা ১৬,১৪২ জন, যা ছাত্রের সংখ্যার তুলনায় ৩,৫৬১ জন বেশি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্প নেওয়ার জেরে ছাত্রীদের পড়াশোনার উৎসাহ বেড়েছে। সমস্ত স্তরের অভিভাবকেরাও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। জেলায় মাধ্যমিকের পর উচ্চ-মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাতেও সেটা স্পষ্ট।”
শিক্ষা সংসদ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০৫৯ জন। তাদের মধ্যে ১১,১৫১ জন ছাত্র ও ১৩,৯০৮ জন ছাত্রী রয়েছেন। মোট ২৬৬৪ জন সিসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১০৭১ জন ও ছাত্রী রয়েছেন ১৫৯৩ জন। পুরনো বিশেষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে ৩৫৯ জন ও ৬৪১ জন। সব বিভাগেই ছেলেদের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। অভিভাবকদের একাংশের অবশ্য দাবি, শহরে ছেলেদের ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করানোর আগ্রহ বৃদ্ধি, গ্রামাঞ্চলে ছেলেদের অনেকে অভিভাবকদের সঙ্গে কাজের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে বা অন্যত্র চলে যাচ্ছে বলে ছাত্র সংখ্যা কমেছে। এক শিক্ষা কর্তার বক্তব্য, ওই বক্তব্য পুরোপুরিভাবে ভিত্তিহীন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কোচবিহারের প্রতিনিধি, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্য মানস ভট্টাচার্যের দাবি, “রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের জেরেই মেয়েদের স্কুল ছুট প্রবণতাও কমেছে।”
পরীক্ষার প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন। সামগ্রিক অবস্থায় পর্যালোচনায় প্রশাসনিক কর্তারা বৈঠক করেছেন। জেলার ৯৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় বসবেন। সংসদ ও প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় মোবাইল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”