এইএসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু

বুধবার রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মারা যান মাথাভাঙার পারাডুবির বাসিন্দা রাখাল বিশ্বকর্মা (৩৫)। সব মিলিয়ে চলতি মাসেই চারজন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কোচবিহারে। তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে জেলা জুড়েই৷ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অ্যাকিউট এন্সেফ্যালাইটিস সিনড্রোমে (এইএস) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০২
Share:

মৃত: রাখাল বিশ্বকর্মা

ফের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কোচবিহারের এক বাসিন্দার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

Advertisement

বুধবার রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মারা যান মাথাভাঙার পারাডুবির বাসিন্দা রাখাল বিশ্বকর্মা (৩৫)। সব মিলিয়ে চলতি মাসেই চারজন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কোচবিহারে। তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে জেলা জুড়েই৷ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অ্যাকিউট এন্সেফ্যালাইটিস সিনড্রোমে (এইএস) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি।’’

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার দিন আগে জ্বর ও মাথাব্যথা থাকায় মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রাখালকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কোচবিহারের স্থানান্তরিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। সেখান থেকে তাঁকে পরিবারের লোকজন শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। বুধবার চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় রাখালের। তাঁর মৃত্যুর পরেই গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস বিশ্বশর্মা বলেন, ‘‘শোকের সঙ্গেই এলাকা জুড়ে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের আতঙ্কও ছড়িয়েছে। মানুষের মধ্যে তাতে প্রশাসনের তরফে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’’

Advertisement

যদিও জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে রাখালবাবু মারা যাননি। তিনি বলেন, ‘‘এইএসে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে রাখালবাবুর। আমরা জেলা জুড়ে মশা মারার কর্মসূচির পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন