প্রশাসক চাই, সরব বিরোধীরা

ওই বিষয়টি নিয়ে বামেদেরও বিঁধেছেন নিখিলবাবু। তিনি বলেন, “বোর্ডে বাম কাউনিন্সলররাও রয়েছেন। তাই বামেরাও অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন না।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৭ ০৩:২৯
Share:

অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কোচবিহার পুরসভায় ‘প্রশাসক’ বসানোর দাবি উঠল। সেই দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। এই দাবিতে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বামেরা অবশ্য ওই ব্যাপারে একমত নয়।

Advertisement

বিজেপির বক্তব্য, পদত্যাগী চেয়ারপার্সনের পরিবর্তে নতুন পদাধিকারী দায়িত্বগ্রহণের আগে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে প্রশাসক বসানো দরকার। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা মারাত্মক। চেয়ারপার্সন ইস্তাফা দিলেই সব কিছু মিটে যায় না। নথিপত্র নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। পুর পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার মতো নানা বিষAdminiয় রয়েছে। তাই নতুন পদাধিকারী না হওয়া পর্যন্ত আমরা পুরসভায় প্রশাসক বসানর পক্ষপাতী। পুরো বিষয়টি নিয়ে তাই আমরা শীঘ্র জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছি।’’

ওই বিষয়টি নিয়ে বামেদেরও বিঁধেছেন নিখিলবাবু। তিনি বলেন, “বোর্ডে বাম কাউনিন্সলররাও রয়েছেন। তাই বামেরাও অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন না।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’

Advertisement

সেই সঙ্গে মহানন্দবাবু জানিয়েছেন, তারা কোনও পরিস্থতিতেই ‘প্রশাসক’ বসানোর বিরোধী। তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাসী। এক মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন, তাঁরাই বোর্ড চালাবেন।” যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি সম্রাট মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “এই মুহূর্তে পুরসভায় সাময়িক ভাবে প্রশাসক বসানো হলে ভাল হয়।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ অবশ্য বলেন, “কে কী বলছেন, তা গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপার নেই। ওই ব্যাপারে যা হওয়ার সে সব পুর আইন মেনেই হবে।”

দলীয় সূত্রের খবর, আগামী ১৫ জুন বোর্ড মিটিং হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী তার এক সপ্তাহের মধ্যে তলবি সভা ডেকে পদত্যাগী চেয়ারপার্সনের জায়গায় নতুন পদাধিকারী নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, ওই পুরসভায় প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কানেও যায়। তাঁর নির্দেশেই শনিবার পদত্যাগ করেন ওই পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা কুণ্ডু। রেবাদেবী অবশ্য আগেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন