পদ্মাবত ছবির পোস্টার।
উত্তরবঙ্গে কোথাও এখনও ‘পদ্মাবত’ নিয়ে কোনও বিরোধিতা নেই। তাতে কি! চাপা উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে। তাই সিনেমা হল, আইনক্সের আশেপাশে কোনও জটলা হলেই এগিয়ে দেখছে পুলিশ। সাদা পোশাকের পুলিশের নজর রয়েছে হলের মধ্যেও। কারণ, বুধবারই শিলিগুড়ির কয়েকটি হল ও আইনক্সে পদ্মাবত শুরু হয়েছে।
উপচে পড়ছে ভিড়। শিলিগুড়িতে বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সগুলোর তরফেও পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ দিনই মাটিগাড়ায় আইনক্সের সামনে ছিল কড়া নজরদারি। সেবক রোড, দাগাপুরের কার্নিভালের আশেপাশেও বাড়তি পাহারার ব্যবস্থা ছিল।
জলপাইগুড়িতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মাবত দেখানো শুরু হবে। ইংরেজবাজারেও আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই এই সিনেমা দেখানো শুরু হবে। সেখানেও প্রহরা কড়া। শহরের এক পেক্ষাগৃহের মালিক বাপি রায় বলেন, “বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু সিনেমা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এমনকী বিভিন্ন রাজ্যে হইচই হয়েছে। তবে আমাদের এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। এবারও আশা করছি সুষ্ট ভাবেই চলবে পদ্মাবত।” শহরের অপর পেক্ষাগৃহের মালিক শুভেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই দর্শক সুষ্ঠ ভাবে সিনেমা দেখে আনন্দ উপভোগ করুক।”
এ দিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি শহরের তিন প্রান্তে তিনটি মাল্টিপ্লেক্সে ‘পদ্মাবত’-এর প্রথম শো শুরু হয়। বেশি রাতেও আরেকটি শো ছিল। সিটি সেন্টার, দাগাপুরের বিনোদন পার্ক এবং আড়াই মাইলের শপিং মলের মাল্টিপ্লেক্সে পদ্মাবত চলছে। মাটিগাড়া থানার তরফে সিটি সেন্টার জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। টিকিট কাউন্টার, মাল্টিপ্লেক্সের প্রতিটি স্ক্রিনের সামনে আলাদা করে সাদা পোশাকের পুরুষ ও মহিলা পুলিশ কর্মী মোতায়েন হয়েছিল। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘কোথায় কোনও গোলমাল হয়নি। বাসিন্দারা নির্ভয়ে সিনেমা দেখেছেন। পুলিশ বাড়তি নজর রেখেছে।’’
এ দিন থেকে সিনেমা দেখানোর কথা সে ভাবে প্রচার হয়নি বলে জানিয়েছেন শহরের একটি হলের মার্কেটিং ম্যানেজার সুপ্রিয় ঘোষ।। তবু ৭০ শতাংশের বেশি দর্শক হয়েছে সন্ধ্যার শোতেই। জলপাইগুড়ির একটি হলেও এ দিন পরীক্ষামূলক ভাবে শো হয়েছে। হল কর্তৃপক্ষের পরিচিতরা এ দিন ছবির প্রথম শো দেখেছেন। সব হলের সামনে পুলিশকর্মীরা থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
জলপাইগুড়ির একটি ডবল স্ক্রিন থিয়েটারের কর্ণধার বিশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের কেউ কোনও হুমকি দেয়নি। পুলিশ-প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে। অন্তত আমাদের রাজ্যে এই সিনেমা দেখানো নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই বলেই মনে করি।’’