Panic at Hospital of Maldah

আগুন আতঙ্ক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে, সাদা ধোঁয়া প্রসূতি বিভাগে! কিছু ক্ষণের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আবর্জনায় আগুন ধরায় আতঙ্ক ছড়াল রোগীদের মধ্যে। সাদা ধোঁয়া প্রবেশ করে প্রসূতি বিভাগে। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৭
Share:

মঙ্গলবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ভিতরে ধোঁয়া। —নিজস্ব চিত্র।

আবর্জনা থেকে ধরা আগুন ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ হাসপাতালের এক তলায় প্রসূতি বিভাগ সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ধোঁয়ার উৎস কী, তা শুরুতে স্পষ্ট না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রসূতিরা। ঘন সাদা ধোঁয়ার জেরে আগুন আতঙ্ক ছড়ালে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সেরাই ওয়ার্ড থেকে দ্রুত বার করে আনেন প্রসূতি এবং অন্য রোগীদের। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায় প্রসূতি বিভাগের পিছনে পড়ে থাকা আবর্জনায় কোনও ভাবে আগুন ধরে গিয়েছিল। সেই ধোঁয়াই প্রবেশ করে ওয়ার্ডে। কিছু ক্ষণ পরেই অবশ্য ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

Advertisement

প্রসূতি বিভাগের পিছনের দিকে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই একটি ফাঁকা জায়গায় বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য জড়ো করা হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিএমওএইচ ছোটন মণ্ডল জানান, হয়তো কোনও কারণে কিছু বর্জ্য পড়ে ছিল সেখানে। কী ভাবে ওই আবর্জনায় আগুন ধরল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিএমওএইচের অনুমান, ওই এলাকায় কেউ ধূমপান করে থাকতে পারেন। পরে সেই বিড়ি বা সিগারেটের টুকরো আবর্জনায় পড়ে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের কেউ কেউ দাবি করেন, ধোঁয়ার জন্য শ্বাস নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল তাঁদের। তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় বিএমওএইচকে। তিনি জানান, ঘটনাটি জানার পরেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়। পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালের কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

Advertisement

আগুন ধরার খবর জানতে পেরেই দমকলে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গেই দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। দমকলের ইঞ্জিন হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং হাসপাতালের কর্মীরা মিলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। শেষে দমকলকর্মীদের চেষ্টায় কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement