সন্তপ্ত: সাংসদের কাছে জয়দেবের বাবা-মা। —নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক পাশ করেছে ছেলে। খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা-বাবা। প্রতিবেশীদেরও চোখের জল বাঁধ ভাঙল।
ছোট ঘরের ছোট্ট টেবিলের উপরে বসানো রয়েছে ছেলের ছবি। সামনে কয়েকটি ফুল। মুর্চ্ছা যেতে যেতে একটাই কথা বলছেন মা, “তুই মাধ্যমিক পাশ করেছিস। যা আমার আর তোর বাবার স্বপ্ন ছিল। তুই ফিরে আয় বাবা।” কোচবিহার শহর সংলগ্ন টাকাগছের বাসিন্দা ওই মায়ের কান্না আনন্দের মধ্যেও বিষাদ নিয়ে এসেছে গোটা জেলায়।
ওই বাড়ির ছেলের নাম জয়দেব দাস (১৫)। গত ১৮ মে সন্ধেবেলা কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে খুন করা হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জয়দেবকে। খুনের অভিযোগে তাঁরই এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ওই বাড়িতে যান কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কোচবিহার নৃপেন্দ্র নারায়ণ হাইস্কুলের ছাত্র ছিল জয়দেব। এলাকায় ভাল ছেলে বলেই সুনাম ছিল তাঁর। বাবা ধরণীবাবু পুরসভায় কাজ করেন। মা শ্যামলীদেবী বাড়িতেই থাকেন। খুব কষ্ট করেই দিন চলে তাঁদের। একমাত্র ছেলে জয়দেবই ছিল মা-বাবার ভরসা। পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়ির সমস্ত কাজে বাবাকে সাহায্য করত সে। সেই ছেলে খুন হয়ে যাওয়ার পর থেকে একরকম ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। এ দিন দুপুরের আগেই বাড়িতে খবর আসে জয়দেব পাশ করেছে। তারপরেই বিষাদ নামে। তাঁদের আত্মীয় জগদীশ দাস বলেন, “এই শোক ভোলা যায় না।’’