আবর্জনায় মুখ ঢাকছে হাসপাতাল, ক্ষোভ রোগীদের

রোগীদের পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়মিত সাফাই করা হয় না। সে কারণেই ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে থাকে আবর্জনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৫১
Share:

তথৈবচ: হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে রয়েছে চিকিৎসা বর্জ্য। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। নিজস্ব চিত্র

আবর্জনা রাখার জায়গা উপচে চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে জঞ্জাল। তার মধ্যে মিশে রয়েছে চিকিৎসা বর্জ্যও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরের ছবিটা এমনই। যেখানে সেখানে চিকিৎসা বর্জ্য ছড়িয়ে থাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীদের একাংশও।

Advertisement

রোগীদের পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়মিত সাফাই করা হয় না। সে কারণেই ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে থাকে আবর্জনা। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘প্রসূতি বিভাগ ছাড়াও অন্য বিভাগ থেকে যে সমস্ত বর্জ্য আসে তা একটি সংস্থার মাধ্যমে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। ঠিকঠাক কাজ না হয়ে থাকলে তা অবশ্যই দেখা হবে।’’

হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কার না করা হলে তা থেকে বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। হাসপাতালে যেহেতু নবজাতকদেরও রাখা হয় ফলে তাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

মেডিক্যালে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাসিন্দা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসার জন্য আসেন। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের কাছেই এসএনসিইউ বিভাগ রয়েছে সেখানে সদ্যজাত শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাখা হয়। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, তার কাছেই চিকিৎসা বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। প্রসূতি বিভাগ ছাড়াও পুরুষ সার্জিক্যাল, মহিলা সার্জিক্যালের আশেপাশে বর্জ্য পড়ে থাকে। একই ছবি দেখা যায় জরুরি বিভাগের আশেপাশেও। এর ফলে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজনদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দূর্গন্ধের জেরে প্রসূতি বিভাগ ও লেবার রুমের আশেপাশে যাতায়াত করা যায় না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।

এছাড়াও মেডিক্যাল কলেজে যেখানে ময়নাতদন্ত করা হয় সেখানেও নিয়মিত সাফাই হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার আসা লোকজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কারের বিষয়টিকে আমরা প্রথম থেকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কেন এমনটা হচ্ছে খোঁজ নিয়ে বলব। সংস্থাটির সঙ্গেও কথা বলা হবে।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দিনে দু’বার করে চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরসভা এবং অন্য একটি সংস্থার আলাদা গাড়ি আসে। বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কথা থাকলেও সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের কর্মীদেরই একটি অংশ। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। আমরা বিষয়টি দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন