পাহাড়ে শীত ভালই পড়েছে। হালকা ঠান্ডা উত্তরবঙ্গের সমতলেও। তাই নরম রোদের আলো গায়ে মেখে সপ্তমীর দুপুরেই পথে নেমেছিলেন উত্তরের মানুষ। তা সে আলিপুরদুয়ারের চৌপথী হোক কিংবা কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি, সবেতেই জমাটি ভিড়। রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাট, মালদহ থেকে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি অবধি অনেক মণ্ডপে তিলধারণের জায়গা মেলা ভার। মহাসপ্তমীর রাতে শিলিগুড়িতে তো বটেই, অনেক শহরে মাঝ রাতের পরেও বেশ কিছু রাস্তায় ভিড় দেখা গিয়েছে।
জনস্রোতের ভিড়ে মিশে গিয়ে যাতে কেউ নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে, তাই সতর্ক ছিল পুলিশও। মালদহ স্টেশন, এনজেপির মতো জায়গায় রাতভর পাহারার ব্যবস্থা রয়েছে। মালদহের ইংরেজবাজার শহরের সুকান্ত মোড়ে শান্তি ভারতী পরিষদ, সর্বজয়ী, অভিযাত্রী ক্লাবের পুজো দেখতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। একই অবস্থা দক্ষিণ বালুচর কল্যাণ সমিতির পুজো মণ্ডপেও। পুরাতন মালদহ, হবিবপুর, মানিকচক, চাঁচল, সামসীতেও ভিড়। রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর সর্বজনীন, অমর সুব্রত, শাস্ত্রীসঙ্ঘ, বিধাননগর, প্রতিবাদ, রবীন্দ্র ইনস্টিটিউশন, বিদ্রোহী, বিপ্লবী, চৈতালি ও অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। তাই যানবাহন শহরের প্রধান রাস্তা এড়িয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদের বিভিন্ন বড় পুজোমণ্ডপগুলিতেও এ দিন দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।
জলপাইগুড়িতে বিগ বাজেটের পুজো ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। শিলিগুড়িতে দেশবন্ধুপাড়ার তরাই স্কুল লাগোয়া এলাকা, সুভাষপল্লি, হাকিমপাড়ায় পুজো দেখার জন্য বিশাল লাইন পড়ে। দীর্ঘ সময় যানজটে থমকে থাকে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতে এ বার পুজোয় টোটোর সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় শহরের যান চলাচলের গতি তলানিতে পৌঁছেছে। টোটো নিয়ে উদ্বিগ্ন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের অনেকেই। তবে পুজোর পরেই বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাই যানজটে পড়ার আশঙ্কা মাথায় নিয়েই আজ, মহাষ্টমীতেও পথে নামতে হবে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার দর্শনার্থীদের।