প্রবল তাপে নাজেহাল শহর

কলকাতা তো বটেই, রাজস্থানকেও টেক্কা দিল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি। রবিবার, ছুটির দিনের তাপমাত্রার পারদ যা উঠেছে তা থেকেই এমন ভাবছেন শহরবাসী। কারণ, এ দিন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি দুই শহরের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুয়েছে।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৮ ০২:০৭
Share:

নাকাল: পাখা হাতে যাত্রী। নিজস্ব চিত্র

কলকাতা তো বটেই, রাজস্থানকেও টেক্কা দিল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি। রবিবার, ছুটির দিনের তাপমাত্রার পারদ যা উঠেছে তা থেকেই এমন ভাবছেন শহরবাসী। কারণ, এ দিন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি দুই শহরের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুয়েছে। যেখানে এ দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজস্থানে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

সকাল ১০টা থেকেই গরম বাতাস বইতে থাকে দুই শহরে। বেলা একটু বাড়তেই প্রবল রোদের তাপে অতিষ্ঠ শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি দুই শহরের বাসিন্দারা। তাই রবিবার ছুটির দিনেও সকাল থেকে দুপুরের হাট-বাজারে তেমন ভিড় জমেনি। আর পাঁচটা রবিবারে যেখানে বেলা ১২টা অবধি ভিড় দেখা যায়, শিলিগুড়ির সেই কালীবাড়ি হাট, উড়ালপুলের নীচের বাজার ছিল তুলনামূলক ভাবে অনেক ফাঁকা। বিধান মার্কেট, আশ্রমপাড়া, হায়দরপাড়া, সুভাষপল্লি বাজারেও ক্রেতা-বিক্রেতারা গরমে কাহিল।

হিলকার্ট রোড, বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের ফুটপাতের হকাররাও সমস্যা পড়েছেন। বেজায় গরমের জন্য কেনাবেচা তুলনায় অনেক কম হয়েছে বলে জানান সুবল রায়, বিপুল দাসের মতো ফুটপাতের বিক্রেতারা। তবে টুপির বিক্রি বেড়েছে বলেই জানান তাঁরা।

Advertisement

এ দিকে প্রবল গরমে তুঙ্গে উঠেছে ঠাণ্ডা পানীয়ের চাহিদা। সুযোগ বুঝে ডাবের বাজারও যেন আচমকা এক লাফে উঠে গিয়েছে। একটি ছোট মাপের ডাবের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩০ টাকা। বড় ডাব ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাও দুপুরের আগেই ফুরিয়ে গিয়েছে ডাব। এক ডাব বিক্রেতা বিপ্লব রায় জানান, গ্রামাঞ্চল থেকেই মূলত ডাব সরবরাহ হয় শিলিগুড়িতে। সেখান থেকে ডাব কম আসছে বলেই দাম বাড়ছে।

এমন গরম ক’দিন সহ্য করতে হবে? উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক রঞ্জন রায় বলেন, ‘‘মৌসুমী বায়ু জোরালভাবে হাজির না হওয়া পর্যন্ত এমন তাপপ্রবাহ দিনের বেলায় চলবে। রাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।’’ তারপরে বর্ষা ঢুকলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে বলেই তাঁর আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন