গরম পড়তেই জলসঙ্কট তীব্রতর

অভিযোগ, পাড়ার ট্যাপকলগুলি দিয়ে সরু সুতোর মতো জল পড়ে। পানীয় জলের জন্য বাড়ির মহিলাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এক বোতল জল ভরতেই মিনিট কুড়ি সময় গড়িয়ে যায়। এ জন্য জল নিয়ে পড়শিদের মধ্যে বচসা রোজকার ব্যাপার হয়ে উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০৪:১৫
Share:

গ্রামে নয়, জলসঙ্কট শহরেও। গরমের আঁচ বাড়তেই গ্রামগঞ্জের মতো জলসঙ্কট শুরু হয়েছে মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও। সঙ্কট মেটাতে পানীয় জলের সময়সূচি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন পুরসভা।

Advertisement

তবে সময়সূচি বাড়ানো হলেও জলের গতি নিয়ে ক্ষুব্ধ শহরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, জলের পাইপলাইনগুলি মেরামত না হওয়ায় গতি কমে গিয়েছে। সরু সুতোর মতো জল পড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পুরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ।

গরমে ইংরেজবাজার শহরে পানীয় জলের সমস্যা অবশ্য ফি বছরের। চলতি বছরেও তা ব্যতিক্রম হয় নি। ইংরেজবাজার শহরের ২৯টি ওয়ার্ডেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পুরসভা এসাকার নিউ গয়েশপুর, চুনিয়াপাড়া, বিদ্যাসাগারপল্লি, গয়েশ পুর, সর্বমঙ্গলাপল্লি, সুভাষপল্লি, মহানন্দাপল্লি, মাধবনগর, বিশ্বনাথ মোড়, ঘোড়াপীড়, চার্চপল্লি-সহ প্রভুতি এলাকায় জলের সমস্যা তীব্র।

Advertisement

অভিযোগ, পাড়ার ট্যাপকলগুলি দিয়ে সরু সুতোর মতো জল পড়ে। পানীয় জলের জন্য বাড়ির মহিলাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এক বোতল জল ভরতেই মিনিট কুড়ি সময় গড়িয়ে যায়। এ জন্য জল নিয়ে পড়শিদের মধ্যে বচসা রোজকার ব্যাপার হয়ে উঠেছে। ২৩ নম্বর ওর্য়াডের কুলদীপ মিশ্র কলোনি, নেতাজি কলোনি, জাহাজ ফিল্ড, ২৪ নম্বর ওর্য়াডের সানি পার্ক, এয়ারভিউ কম্পপ্লেক্স, ২৫ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দাদের টিউবওয়েলের জল খেতে হয়।

পুরসভার দাবি, সমস্যা মেটাতেই এখন থেকে রোজ সকাল ছ’টা থেকে সাড়ে আটটা, সকাল ৯-১১টা ও দুপুর ৩-৬টা পর্যন্ত পাইপলাইনের জল দেওয়া হবে। চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘জলের সময়সূচি বাড়ানোর পাশাপাশি পাইপ লাইন সংস্কারের কাজও করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন