আকর্ষণ: শের খানের ছবি তুলছেন এক বাসিন্দা। নিজস্ব চিত্র
‘খালি এসেছে’, ‘খালি এসেছে’....
শহরের পাড়ায় পাড়ায় রটে গিয়েছিল কথাটা। ৩৭৫ পাউন্ডের যে দৈত্যকে ডব্লুডব্লুই- মঞ্চে দেখা যায়, সেই ‘মহাবলী’ খালিই নাকি জলপাইগুড়ি শহরে এসেছেন। সেই কথা শুনেই জনতা ভিড় করেছিল লম্বা, চওড়া চেহারাটার চারদিকে।
বারবার প্রশ্নে দৃশ্যই বিব্রত হচ্ছিলেন বিরাট চেহারার মানুষটি। কেন তাঁকে নিয়ে এত উৎসাহ তা বুঝতেও পারছিলেন না তিনি। বিনীতভাবে জানিেয় দিচ্ছিলেন তিনি এসেছেন আফগানিস্তানের কাবুল থেকে। নাম শের খান। এসেছেন পোশাক বিক্রি করতে। মানুষজন অবশ্য বুঝেই গিয়েছিলেন তিনি রেসলার ‘খালি’ নন। তাতে কী? খালি হাতে তো ফেরা যায় না। তাই শের খানকে ঘিরেই নিজস্বী তোলবার ধুম ওঠে তাঁকে ঘিরে থাকা কচিকাঁচা থেকে তরুণ, সবার মধ্যেই।
শের খানকে দেখতে মঙ্গলবারই ভিড় জমে গিয়েছিল৷ বুধবারও তাঁর খোঁজ চলল জলপাইগুড়িতে৷ এ দিন তাঁকে দেখতে না পেলেও এই লোকটির চেহারাই এখন ঘোরাফেরা করছে জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দাদের মনে৷
জানা গিয়েছে, শের খানের বাড়ি কাবুলে৷ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার সকালে তিনি জলপাইগুড়ি এসেছিলেন৷ সেইসঙ্গে উদ্দেশ্য ছিল পরিচিতদের মধ্যে পোশাক বিক্রি৷ জলপাইগুড়িতে প্রথমবার এসে ওইদিন দুপুরে শহরটি একটি ঘুরে দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তাকে দেখে আচমকাই রটে যায় রেসলার খলি এসেছেন জলপাইগুড়িতে৷ আর লোকমুখে তা ছড়িয়ে পড়তেই শের খানকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি৷ কখনও লিচুতলা এলাকা থেকে দিনবাজার চত্বর যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই মানুষ তাকে ছেঁকে ধরেছে৷ বারবার সেলফি তোলার আব্দারে অতিষ্ঠ হয়ে ফিরে যান নয়াবস্তিতে৷
উৎসাহ কাটেনি রাত পোহালেও। মঙ্গলবার যারা দেখতে পাননি, তাদের অনেকেই বুধবার ছুটলেন জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি এলাকায়৷ একটিবারের জন্য মানুষটিকে চাক্ষুস করতে৷ কিন্তু মন খারাপ করে ফিরে আসতে হয় তাদের৷
নয়াবস্তি এলাকায় বাস করা নঈম খান চেনেন শের খানকে। তিনি বললেন, ‘‘উনি অসম থেকে এসেছিলেন৷ আমাদের জন্য পোশাক বিক্রি করতেই তাঁর আসা৷’’ তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে খানিকক্ষণের জন্য বেরিয়ে আবার ফিরে আসেন৷ রাতের দিকে আবার বের হয়েছিলেন৷ বুধবার সকালেও শের খানের খোজে অনেকে এসেছিলেন নয়াবস্তিতে৷ কিন্তু তার আগেই তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান৷