মহাষ্টমীর অঞ্জলি।
মহাষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার জন্য সাতসকালেই স্নান সেরে পাটভাঙা শাড়িতে মণ্ডপমুখো মা-মেয়েরা। বাবা-ছেলেরা বেশির ভাগ পাজামা-পাঞ্জাবিতে। উদ্যোক্তাদের তরফে মাইকে ঘনঘন ভক্তদের মণ্ডপে হাজির হওয়ার ডাক দেওয়া হচ্ছে। পুরোহিতমশাই মাইক কেড়ে নিয়ে বলছেন, ‘কেউ ফুল ছুড়বেন না, ঝুড়ি সামনে গেলে তাতে ফেলবেন। দেবী মায়ের সামনে ফুল ছোড়াছুড়ি করবেন না।’ মোটামুটি বালুরঘাট থেকে হলদিবাড়ি, কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ থেকে তুফানগঞ্জ, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি অথবা মালদহ— সর্বত্রই এমন দৃশ্য দেখে গিয়েছে মহাষ্টমীর দুপুর অবধি।
দুপুরে সন্ধিপুজো শুরু। পুজো দেখাও শুরু হয়ে যায় সন্ধ্যা থেকে। রায়গঞ্জের বহু মণ্ডপে তখনই ভিড়। ভিড় হেমতাবাদের কাকড়সিংহ দুর্গামন্দিরেও। মালদহে রামকৃষ্ণ মিশনের কুমারী পুজো ছিল শহরবাসীর কাছে বিশেষ আকর্ষণ। এই জেলায় পুজো দেখার সময়ে অভব্যতা করার অভিযোগে ২৫ জন মোটরবাইক চালক ও আরোহীকে আটকও করা হয়েছে। ইংরেজবাজারে দুই দিনাজপুর থেকে তো বটেই, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকেও বহু দর্শনার্থী পুজো দেখতে যান।
উত্তর দিনাজপুরে জাতীয় সড়কে ট্রাক ও টোটোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, নবমীতে ভিড় আরও বাড়বে বলে পুলিশকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। আলিপুরদুয়ার জংশন রামকৃষ্ণ আশ্রম ও হাটখোলা দুর্গাবাড়িতে ভক্তদের ভিড় ছিল সকাল থেকেই। রামকৃষ্ণ আশ্রমে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন কুমারী পুজো দেখতে৷ জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের কুমারী পুজো দেখতে ঠাসাঠাসি ভিড়। শহরের বিগ বাজেটের পুজো দেখতে বিকেল থেকে গভীর রাত অবধি ভিড় চোখে পড়েছে সকলেরই।
শিলিগুড়ি আছে শিলিগুড়িতেই। পুজো দেখার ভিড়ে যানজট হয়েছে বহু জায়গায়। যার প্রধান কারণ, অনিয়ন্ত্রিত টোটো। দর্শনার্থীরা এই নিয়ে পুলিশকে অনুরোধ করলে অফিসারেরা জানিয়ে দেন, রাজনৈতিক সদচ্ছি না থাকলে টোটো নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা এই নিয়ে একে অন্য দলকে দোষারোপ করেছেন।