হামলার পরে স্কুলে।
রাত-বিরেতে গুলির শব্দ শোনা যেত গ্রামে। বোমার শব্দে কখনও কখনও ঘুম থেকে চমকে উঠত খুদেরা। বুধবার সকালের পরে সেই আতঙ্ক আরও জাঁকিয়ে বসেছে দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম গীতালদহে।
অভিযোগ, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একদল যুবক দাপিয়ে বেড়ায়। স্কুলে ঢুকে গুলি চালানোয় দুই শিক্ষক গুলিবিদ্ধও হন। সেই আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা গ্রাম। চাইলনদহের ওই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরানোর পর শিশুকে নিজের কাছেই আগেই আগলে রেখেছেন এক দম্পতি। বার বার বলছিলেন, “এর পরে কার ভরসায় কোন স্কুলে সন্তানকে পাঠাব।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে এলাকায় গণ্ডগোল চললেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না?
দিনহাটার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম গীতালদহ। কোথাও কাঁটাতার রয়েছে, কোথাও নেই। সেই এলাকায় বেসরকারি স্কুল হাতে গোনা। চাইলনদহে স্থানীয় কয়েকজন মিলে একটি নার্সারি স্কুল চালু করে। সেখানে ওই এলাকা ও সংলগ্ন এলাকার শিশুরা পড়াশোনা করে। স্কুলের পাশেই বাড়ি লিলি বিবির। তাঁর চোখের সামনেই ওই ঘটনা ঘটেছে। কোনওরকমে দৌড়ে সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যান তিনি। বললেন, “আমার খুব ভয় করছে। যদি শিশুদের কারও গুলি লাগত। যদি কেউ জখম হত। সবাই সবকিছু দেখছে। অথচ কেউ কিছু বলছে না।” আরেক অভিভাবিকা ফজিলা বিবি বলেন, “কাল থেকে কোন সাহসে সন্তানকে স্কুলে পাঠাব। বাইরে বেরোতে তো আমাদেরই ভয় করছে।” দিনহাটার এসডিপিও উমেশ গণপত বলেন, ‘‘ভয়ের কোনও ব্যাপার নেই। কেউ গণ্ডগোল করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”