ভোর না হতেই বিরাট লাইন 

সরকারি নির্দেশে গত ৯ অগাস্ট থেকে ইটাহার বিডিও অফিসে ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রেশনকার্ডে নাম সংশোধন, পরিবারের ছোটদের নতুন রেশনকার্ড তৈরি ও ডিজিটাল রেশনকার্ড তৈরির জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে কেউ এসেছেন, নাম ঠিক করতেও। কেউ ঠিকানা।

Advertisement

গৌর আচার্য 

ইটাহার শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

এনআরসি নিয়ে উদ্বেগের জেরে ইটাহার ব্লকের জয়হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হালিমপুর এলাকার বাসিন্দা সোলেমান সরকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনআরসি নিয়ে এই ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা উদ্বেগ ও আতঙ্কে রয়েছেন। প্রশাসনের দাবি, সেই উদ্বেগ ও আতঙ্কের জেরে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বাসিন্দারা জমির নথি সংগ্রহের জন্য ইটাহার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ভিড় করছেন। অনেকে আবার রেশনকার্ডে নাম সংশোধন, পরিবারের ছোটদের নতুন রেশনকার্ড তৈরি ও ডিজিটাল রেশনকার্ড তৈরির জন্য ইটাহার বিডিও অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন। সরকারি নির্দেশে গত ৯ অগাস্ট থেকে ইটাহার বিডিও অফিসে ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রেশনকার্ডে নাম সংশোধন, পরিবারের ছোটদের নতুন রেশনকার্ড তৈরি ও ডিজিটাল রেশনকার্ড তৈরির জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে কেউ এসেছেন, নাম ঠিক করতেও। কেউ ঠিকানা।

Advertisement

পাশাপাশি, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইটাহার ব্লকের বাকি ছয়ঘরা, মারনাই, কাপাসিয়া, জয়হাট, দুর্গাপুর, দুর্লভপুর, পতিরাজ, গুলন্দর-১, গুলন্দর-২, সুরুণ-১ ও সুরুণ-২ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে শিবির করে বাসিন্দাদের কাছ থেকে ওই আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ চলছে।
ইটাহারের বিডিও আবুল আলা মাবুদ আনসারের বক্তব্য, ইটাহার ব্লক প্রশাসনের তরফে ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এনআরসি নিয়ে বাসিন্দাদের অযথা উদ্বেগ ও আতঙ্কগ্রস্থ না হওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। এনআরসি নিয়ে গুজবের জেরে জমির নথি সংগ্রহ ও রেশনকার্ডের বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার কাজে বাসিন্দাদের বিশৃঙ্খলা বাড়ছে।

ইটাহারের মারনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলমারি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাশিম, কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা বুধু মহম্মদ ছাড়াও অনেকেই এদিন ইটাহার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ভিড় করেন। তাঁদের কথায়, ১৯৭১ সালের আগের জমির আরএস খতিয়ান ও বিভিন্ন নথি না থাকলে এনআরসির তালিকায় নাম বাদ পড়ে তাঁদেরকে দেশছাড়া হতে হবে। এই উদ্বেগ ও আতঙ্কে তাঁরা ওই দফতরে তাঁদের ও তাঁদের পূর্ব পুরুষের জমির সেইসব নথি সংগ্রহ করতে এসেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন