কার্শিয়াংয়ের নয়া বাজারে ভোট দিয়ে ফিরছেন এক বৃদ্ধ।ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
ভোটের দিন জন্ম বলে নাম ভোটে তামাঙ্গ। ছয় দশক ধরে ভোটও দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু পাহাড়ে এমন জমাটি ভোটের ছবি আগে কোনও দিন দেখেননি। তেমনই, চেয়ারে বসে প্রায় চার জনের কাঁধে চড়ে ভোট দিতে গিয়ে এ বারই প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে আর এক অশীতিপর দাওয়া ব্লোনের। দু’জনের বক্তব্যের নির্যাস, বুথের বাইরে দু’দলের লোকের একে অন্যের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলার ছবিটা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ঘরে কিছুটা প্রভাব ফেলবেই।
রবিবার সকালে কার্শিয়াঙের ক্যাসলটন চা বাগানের বুথে ভোট দিয়ে ফেরার পথে হাঁফাচ্ছিলেন ৮১ বছরের বৃদ্ধ ভোটে তামাঙ্গ। বললেন, ‘‘ঝড়-জল সত্ত্বেও সব ভোট দিয়েছি।’’ দম নিয়ে বললেন, ‘‘তবে এমন জমজমাট ভোটের ছবি কার্শিয়াঙে দেখব তা ভাবিনি। বুথের বাইরে যা দেখলাম কেউ কাউকে এতটুকু জমি ছাড়েনি। এর একটা চাপ তো ভোটের মেশিনে পড়বেই।’’
দাওয়া ব্লোনকে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেন চার মোর্চা সমর্থক। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তাঁর মুখে তৃপ্তির হাসি। কাছেই তৃণমূলের বুথ-শিবিরে উপচে পড়া ভিড় দেখে বিস্মিত হলেন দাওয়া। অস্ফুটে বললেন, ‘‘এমনটা আগে কখনও দেখিনি।’’
ঘটনা এটাই। সকাল থেকে কার্শিয়াং পুরসভার প্রতিটি বুথের সামনে মোর্চাকে টেক্কা দিতে যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। বিধির তোয়াক্কা না করে তৃণমূলের নেতা বিন্নি শর্মা পুর এলাকায় ঘুরে ‘দাদাগিরি’র চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগও হয়েছে। পুর এলাকার বাসিন্দা না হওয়ায় বিন্নির কার্সিয়াঙ পুর এলাকায় ভোটের সময় থাকার অনুমতি নেই। তিনি সে সবের তোয়াক্কা করেননি বলে অভিযোগ মোর্চার। বিন্নির বক্তব্য, ‘‘কার্শিয়াঙের মানুষ কী রায় দিতে চলেছেন সেটা আঁচ করেই মোর্চা নানা মনগড়া নালিশ ঠুকছে।’’