marriage

Police: প্রেমিকা অনাথ, পালাতে চেয়েছিলেন প্রেমিক, ডিজে বাজিয়ে তাঁদের বিয়ে দিল পুলিশ!

যুবতীর নাম সোনাদেবী সিংহ (২৩)। তাঁর বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলায়। কুমেদপুরের মাখনা কারখানাতে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৬
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্কে থেকেও বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক। এমতাবস্থায় অনাথ যুবতীর পাশে দাঁড়ালেন পুলিশকর্মীরা। থানা চত্বরেই বিয়ের মণ্ডপ তৈরি করে ব্যান্ড পার্টি ডেকে ওই যুবতীর সঙ্গে অভিযুক্ত প্রেমিকের বিয়ের দিলেন তাঁরা। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুমেদপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর নাম সোনাদেবী সিংহ (২৩)। তাঁর বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলায়। কুমেদপুরের মাখনা কারখানাতে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। সেখানেই বিহারের দ্বারভাঙা জেলার বাসিন্দা শঙ্কর সাহনি (২৫) নামে ওই অভিযুক্ত যুবকের সোনাদেবীর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রণয়ের সম্পর্ক। কিন্তু সোনাদেবী বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসেন শঙ্কর।

এর পরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সোনাদেবী। তাঁর অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়েতে রাজি হচ্ছেন না তাঁর প্রেমিক। সঙ্গে সঙ্গে শঙ্করকে থানায় ডেকে আনা হয়। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ শঙ্করকে বোঝান পুলিশকর্মীরা। সব অভিযোগ স্বীকার করে বিয়েতে রাজিও হন তিনি।

Advertisement

এর পর থানাতেই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দেন আইসি সঞ্জয়কুমার দাস-সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। থানাতেই তৈরি করা হয় মণ্ডপ। ব্যান্ড পার্টি ডেকে ঢালঢোল পিটিয়ে হিন্দু মতে বিয়ে শঙ্কর আর সোনাদেবীর বিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘যুবতী কাঁদতে কাঁদতে থানায় এসেছিলেন। ওঁর বাবা-মা নেই। পুরো ঘটনা শোনার পর যুবককে থানায় ডাকি আমরা। সব স্বীকারও করে নেয় ওই যুবক। এর পর থানার উদ্যোগেই অনাথ যুবতীর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।’’

পুলিশের এই উদ্যোগে আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারাও। আব্দুল মতিন নামে বাসিন্দা বলেন, ‘‘ওঁরা অনেক দিন ধরেই প্রেম করত। কিন্তু মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাইছিল না ওই যুবক। মেয়েটির মা-বাবা নেই। পুলিশ যে ভাবে সমস্যার সমাধান করল, তা প্রশংসনীয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন