শান্তনু-খুনে ধৃত পুলিশি হেফাজতে

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শান্তনু ভট্টাচার্যকে খুনের ঘটনায় ধৃতের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫১
Share:

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শান্তনু ভট্টাচার্যকে খুনের ঘটনায় ধৃতের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।

Advertisement

খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ বুধবার রাতেই কোচবিহারের ঘুঘুমারি থেকে শুভঙ্কর ঘোষ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার ধৃত শুভঙ্করকে কোচবিহার জেলা আদালতে তোলা হয়। যে অস্ত্র দিয়ে ওই খুন করা হয়েছে তার খোঁজ এবং খুনের কারণ স্পষ্ট করার জন্য আরও কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার জন্যে পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। বেশ কিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আরও তথ্য জানা যাবে।”

মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহার শহর ঘেঁষে থাকা তোর্সা নদীর চর থেকে শান্তনুর দেহ উদ্ধার হয়। শ্বাসনালি কেটে তাকে খুন করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে শান্তনুর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে তার এক সহপাঠীর কাছ থেকে। এর পরেই ঘটনা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় পুলিশের কাছে।

Advertisement

পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, শহরেরই ঘুঘুমারির যুবক শুভঙ্কর ঘোষ ওই মোবাইল বিক্রি করেছে। এর পরেই তাকে গ্রেফতার করলে ধৃত খুনের ঘটনা স্বীকার করে বলে তদন্তকারি অফিসাররা জানান।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফেসবুকের মাধ্যমেই দু’জনের মধ্যে পরিচয় হয়। ধৃত যুবক শুভঙ্করই ওই ছাত্রকে ডেকে বাঁধের কাছে নিয়ে যায় বলে পুলিশ জেনেছে। কোচবিহারের তোর্সার বাঁধের ধারে সন্ধের পরে অনেকটাই অন্ধকার নেমে আসে। লোকজন বিকেলের দিকে গেলেও সন্ধেয় সকলেই ফিরে আসেন। এলাকাও ফাঁকা হয়ে যায়। পুলিশ তদন্তে জেনেছে, সন্ধের সময় একটু আড়ালে নিয়ে গিয়ে শান্তনুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে শুভঙ্কর। এর পরে দেহ সেখানে ফেলে রেখে সে চলে যায়। পরে একটি ছুরি নিয়ে ফের সেখানে যায় শুভঙ্কর। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যে সে তার শ্বাসনালি কেটে দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এলাকায় এবং স্কুলে সুনাম ছিল শান্তুনুর। তার এমন মৃত্যুতে শহরে ক্ষোভ ছড়ায়। ধৃতের কড়া শাস্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের পাশাপাশি প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমেও অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে রাজা বৈদ্য বলেন, “এমন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন