নিশানা পুলিশ, পাল্টা চলল লাঠিচার্জ

হামলার খবর পেয়ে বড় পুলিশ বাহিনী গ্রামে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, “বড় মরিচা এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। দু’জনকে ধরা হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শীতলখুচি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০৫:০৬
Share:

আক্রান্ত: ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

লোকসভা ভোটের পর থেকেই শীতলখুচিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বারবার বোমাবাজির অভিযোগ উঠছিল। এ বার রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশকেই বোমার মুখে পড়তে হল বলে দাবি। শনিবার সকাল থেকে শীতলখুচির বড় মরিচা গ্রামে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছলে, পুলিশের বাসেই বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে পাঁচ পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের আপাতত থানায় রাখা হয়েছে। বোমার আঘাতে বাসের সামনের এবং দু পাশের কাচ ভেঙেছে। দুই তৃণমূল কর্মীকে ধরেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় পুলিশ, ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেলও। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পুলিশের গাড়িতে বোমা মেরেছে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মীরা।

Advertisement

হামলার খবর পেয়ে বড় পুলিশ বাহিনী গ্রামে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, “বড় মরিচা এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। দু’জনকে ধরা হয়েছে।’’

সকালের গোলমালের পর থেকে থমথমে গোটা শীতলখুচিই। বড় মরিচা এবং লাগোয়া এলাকার দোকান-বাজার বন্ধ। পুলিশি টহল চলছে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত সকাল দশটা নাগাদ। বড় মরিচা বাজারে তৃণমূলের একটি বাইক মিছিল পৌঁছয়। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের বাইক বাহিনী তাদের কর্মীদের মারধর করে। কয়েকটি দোকানেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে মাথাভাঙার এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। এসডিপিওর গাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশের একটি বাস। হঠাৎ করে সেই বাসের দিকে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সে সময় বাসের ভিতরে পুলিশ কর্মীরা ছিলেন। বোমার আঘাতে ঝনঝন করে বাসের জানালা এবং সামনের কাচ ভেঙে যায়। ভিতরে থাকা পুলিশ কর্মীরা জখম হন। এর পরেই পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে। কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়।

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হেমচন্দ্র বর্মণের অভিযোগ, “কয়েক দিন ধরে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারছিল। এ বার পুলিশকেও আক্রমণ করল। যে দু’জনকে পুলিশ ধরেছে, তারা তৃণমূলের গুন্ডা।” তৃণমূল নেতা সাহের আলি মিয়াঁ বলেন, “বিজেপি নেতারা মিথ্যে কথা বলছেন। যাদের ধরা হয়েছে, তারা আমাদের কেউ না। বিজেপিই পুলিশের বাসে বোমা ছুড়েছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের দাবি, শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনকে আর্জি জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন