কালিয়াচকে আলিম শেখকে ৯১ হাজার টাকার জালনোট সহ বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে চার দিনের জন্য হেফাজতেও নিয়েছিল। পুলিশের দাবি, আলিম জাকির শেখের ঘনিষ্ঠ। শুক্রবার বিকেলে আলিমকে নিয়েই তাঁর দাঁড়িয়াপুর নয়াবস্তির বাড়িতে যায় জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল এবং তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কার্তুজ সহ দু’টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ দিন সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘আলিম শেখের বাড়ি থেকে একটি নাইন এমএম এবং একটি সেভেন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সঙ্গে ৪টি তাজা কার্তুজও পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি কোথা থেকে কেনা বা সংগ্রহ করা হয়েছে তা নিয়ে আলিমকে ফের জেরা করা হবে।’’
পুলিশ সুপার বলেন, উত্তরবঙ্গ পুলিশের এডিজি নটরাজন রমেশবাবুর নির্দেশে কালিয়াচকের দুষ্কৃতীরাজ মোকাবিলায় মালদহ জেলার বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের পাশাপাশি ভিন জেলার অফিসার-কনস্টেবলদেরও এনে অভিযান শুরু করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার অমিত পালকেও কালিয়াচকে আনা হয়েছে। মূলত, কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানায় যে সমস্ত এসআই ও কনস্টেবলরা আগে কাজ করে গিয়েছেন এবং এখন ভিন জেলায় কর্মরত রয়েছেন, তাঁদেরই এনে এই অভিযানে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া, অভিযান চালাতে জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার (সদর) দিলীপ হাজরার নেতৃত্বে ১৫ জনকে বাছাই করা পুলিশদের নিয়ে একটি স্পেশাল গ্রুপও গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে বকুল ও জাকির শেখের গোষ্ঠীর অন্তত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও জালনোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, গত এক মাসে বিভিন্ন জামিন অযোগ্য মামলায় ওয়ারেন্ট থাকা জেলায় ৭০০ জনকে ধরা হয়েছে। অভিযান চলবে।