থানায় অভিযোগ দায়ের মীরের

পলাতক আয়োজকদের খোঁজে তল্লাশি পুলিশের

অনুষ্ঠান শুরুর আগেই কর্তারা পালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানালেন অভিনেতা-সঞ্চালক মীর। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করেন মীর। অভিযোগে তিনি জানান, সৌরভ সাহা নামে এক যুবক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কলকাতার এক যুবক-সহ আরও দু’জন তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪৭
Share:

অনুষ্ঠান শুরুর আগেই কর্তারা পালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানালেন অভিনেতা-সঞ্চালক মীর। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করেন মীর। অভিযোগে তিনি জানান, সৌরভ সাহা নামে এক যুবক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কলকাতার এক যুবক-সহ আরও দু’জন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। সৌরভের সংস্থার সঙ্গেই তাঁদের চুক্তি হয়। ওই যুবককে অবশ্য এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ। দিনহাটায় চওড়াহাট এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ওই যুবক থাকেন। সেখানে তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ কিছু পায়নি। এ দিন সকালে কোচবিহার থেকে কলকাতা ফিরে যান মীর। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “অনুষ্ঠানের আয়োজকরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” এ দিন মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মীর বলেন, “আমরা কলকাতায় ফিরেছি। রবিবার রাতেই তিন জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে আর কিছু করার নেই।”

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যা ছটায় কোচবিহারে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মীরের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। গত কয়েকদিন শহর জুড়ে ওই অনুষ্ঠানের প্রচারও করা হয়। ভিআইপি পাস বিলি করা হয় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে। স্বাভাবিক ভাবেই মীরের অনুষ্ঠান দেখবেন বলে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন বাসিন্দারা। অনুষ্ঠানের সময় পার হওয়ার পরে দুই ঘণ্টা ধরে বসেছিলেন দর্শকরা। আটটা বেজে গেলেও অনুষ্ঠান শুরু না হওয়ায় খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। জানতে পারেন, আয়োজক সংস্থার কর্তারা পালিয়ে গিয়েছেন। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। চেয়ার ভাঙচুর শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ জানায়, অনুষ্ঠানের জন্য মীর সময়মতো চলে আসেন কোচবিহারে। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মীর প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু, চুক্তি মোতাবেক টাকা না পাওয়ায় তিনি আয়োজক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। আয়োজকরা পালিয়ে গিয়েছেন শুনে তিনি আর অনুষ্ঠানে যাননি। ভাঙচুরের ঘটনার পরে রাতে মীর থানায় অভিযোগ করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে এই ধরনের অনুষ্ঠান শীতকালে নিয়মিত হয়ে থাকে। কলকাতা থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শহরে এসে অনুষ্ঠান করেন। বেশিরভাগ অনুষ্ঠান হয় গ্রামের দিকে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ওই সংস্থা এর আগে কোনও অনুষ্ঠান করেননি। দর্শকরা দাবি করেছেন, এ সব ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন যখন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেন সে সময় ভাল করে সব খতিয়ে দেখা দরকার। যে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চুক্তি করেন তাঁদেরও ওই সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে দেখা উচিত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন