Durga Puja 2020

অনুদানের হিসেব চাইছে পুলিশ, পাকা রসিদও

অনেক কমিটিরই দাবি সাড়ে ৩৭ হাজার টাকার জিএসটি নম্বর সহ বিল জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুজো কমিটিগুলির থেকে অনুদানের টাকা খরচের হিসেব চাইছে পুলিশ। রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছি। সেই অনুদান পুলিশের মাধ্যমেই বিলি হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা পুজো অনুদান নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল প্রতি পুজো

Advertisement

কমিটিকে অনুদানের ৭৫ শতাংশ টাকা দিয়ে মাস্ক স্যানিটাইজ়ার কিনে বিলি করতে হবে। সেই নির্দেশ পালন হল কিনা তা হাইকোর্টকে পরবর্তী শুনানিতে জানাতে হবে। এ বার জলপাইগুড়ির পুজো কমিটিগুলির কাছে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে ফোন যেতে শুরু করেছে। কমিটিগুলির কাছে স্যানিটাইজ়ার এবং মাস্ক কেনা বাবদ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার বিল চাইছে থানা।

পুলিশের থেকে কমিটিগুলিকে জানানো হয়েছে সাধারণ বিল দিলে হবে না, জিএসটি নন্বর সহ পাকা বিল লাগবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই বিল জমা দিতে হবে বলে কমিটিগুলিকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। থানা থেকে ফোন পেয়ে মাথায় হাত পড়েছে অনেক কমিটির। জলপাইগুড়ি শহরের একটি মাঝারি পুজো কমিটির সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা মাস্ক এবং স্যানিটাইজার কিনে বিলি করেছি ঠিকই কিন্তু অল্প টাকার। এখন সাড়ে ৩৭ হাজার টাকার জিএসটি বিল পাব কোথায়?’’

Advertisement

এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলার বেশিরভাগ বড় বাজেটের পুজো কমিটিই আয়োজনে কাটছাঁট করেছে। অনেক ছোট-মাঝারি কমিটি ঘট পুজো করার চিন্তাভাবনাও আগেভাগে শুরু করেছিল। রাজ্যের অনুদান ঘোষণার পরে পুজো কমিটিগুলিও আয়োজন বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানায়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পুজো মণ্ডপে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার বিলিও দেখা যায়। তবে অনেক কমিটিরই দাবি সাড়ে ৩৭ হাজার টাকার জিএসটি নম্বর সহ বিল জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।

জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘হাইকোর্ট অর্ডার দিয়েছিল পুজোর সময় মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে, সেগুলি বিলিও করতে হবে। পুজো কমিটিগুলি কী কী কাজ করল সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে করা হচ্ছে।’’

জলপাইগুড়ির পুজো কমিটিগুলির একাংশ অবশ্য দাবি করেছে তাঁদের কাছে যাবতীয় বিল-রসিদ রয়েছে। কদমতলা সর্বজনীন পুজো কমিটির সদস্য কৌস্তভ বসু বলেন, ‘‘পুজোর কয়েকদিন প্রচুর মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার বিলি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৭ হাজারের বেশিই হবে। সেগুলি কেনার সময় আমার পাকা রসিদ নিয়ে রেখেছিলাম, সেগুলি জমা দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement