—প্রতীকী চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও পোস্ট ঘিরে কমেন্ট বক্সে উঠছে ঝড়। কোথাও আবার পোস্ট দেখে হামলা হচ্ছে পডুয়ার বাড়িতে। আবার কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ছেড়ে তা ভাইরাল হতেই গ্রেফতার হয়েছে কলেজ পড়ুয়া। কাশ্মীরে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরপর পোস্ট এবং তাকে ঘিরে গোলমালে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার পুলিশ-প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারির নির্দেশও দিয়েছে।
তাই অভিযোগের জন্য বসে না থেকে শিলিগুড়ি পুলিশের তরফে শুরু হয়েছে ‘সাইবার পেট্রলিং’। পুলিশ জানাচ্ছে, ভ্যান বা গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন রাস্তা, এলাকায় যেমন নজরদারি করা হয়। অনেকটা সেভাবেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, নানা ওয়েবসাইট, ব্লগে চলছে ওই নজরদারি। এই কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি সাইবার থানাকে। বুধবার রাত পর্যন্ত নতুন করে কোনও অভিযোগ সামনে আসেনি। তবুও এই ধরনের গোলমাল রুখতে পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার বলে মনে করছেন অনেকেই।
পুলিশ সূত্রের খবর, নানা অত্যাধুনিক মেশিন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে চলছে এই বিশেষ নজদারি। ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ-সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নজর রাখা হচ্ছে। কোথাও কেউ ব্লগ লিখে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন কি না তাও দেখার চেষ্টা চলছে। থানার অফিসারেরা জানান, দুইজন অফিসারদের এই পেট্রলিং-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে কিছু পাওয়া গেলে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের অন্য কোনও জেলা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারদের জানানো হবে বলেই জানিয়েছে সাইবার থানা কর্তৃপক্ষ।
শিলিগুড়িতেই রয়েছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র পুরোদস্তুর সাইবার থানা। শহরের স্টেশন ফিডার রোডে শিলিগুড়ি থানার পাশে পুরনো পুলিশ ইন্সপেকশন বাংলোই এখন সাইবার থানা। ২০১৫-র মার্চে থানার উদ্বোধন হয়। বর্তমানে একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, একজন এসিপি ছাড়াও থানার দায়িত্বে আছেন একজন ইন্সপেক্টর, দু’জন এসআই, তিনজন এএসআই, পাঁচজন কনস্টেবল এবং ২ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষকে দু’দিন আগেই বদলি করা হয়েছে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে মালদহ জেলার রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর পদে। কাজ চালাতে যাতে সুবিধে হয় তার জন্য থানার প্রত্যেককে সাইবার ক্রাইম নিয়ে কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনানো হয়েছে। নথিপত্র জাল, এটিএম জালিয়াতি, সোশ্যাল সাইটে আপত্তিকর মেসেজ বা ছবি সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে থানাটি কাজ করে। শিলিগুড়ি কমিশনারেট এলাকা থেকে মাসে কমবেশি ৫টি অভিযোগ দায়ের হয় সাইবার থানায়।
শিলিগুড়ি পুলিশের সাইবার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি গৌরব লাল বলেন, ‘‘অনলাইনে আমাদের নজরদারি বা পেট্রলিং চলছে। নতুন করে এখনও কিছু মেলেনি।’’