টুকলি নিয়ে তৎপর পুলিশ

এক দিকে টুকলি দেওয়ার মরিয়া তাগিদ। অন্য দিকে পুলিশের লাঠি। তাড়া খেয়ে পালানোর সময় কেউ কেউ পুলিশের দিকে ঢিলও ছুড়ল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৪
Share:

ইংরেজবাজারের শান্তাদেবীয়া হাইস্কুলে নকল সরবরাহের প্রস্তুতি। ছবি: অভিজিৎ সাহা।

এক দিকে টুকলি দেওয়ার মরিয়া তাগিদ। অন্য দিকে পুলিশের লাঠি। তাড়া খেয়ে পালানোর সময় কেউ কেউ পুলিশের দিকে ঢিলও ছুড়ল।

Advertisement

বুধবার বাংলার দিনেই মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি স্কুলে পুলিশের চোখের সামনেই দেদার টুকলি হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ এক আধবার তেড়ে গেলেও খুব বেশি সক্রিয় ছিল না বলেই জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক। তবে মাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষার দিনে পুলিশকে তৎপরই দেখা গিয়েছে।

পরীক্ষা থাকলে স্কুল চত্বরে ১৪৪ ধারা থাকে। কিন্তু, এ দিন পরীক্ষার এক ঘণ্টা কাটতেই মালদহের মানিকচক ও কালিন্দ্রী হাইস্কুলে টুকলি দেওয়া নিয়ে ফের গণ্ডগোল শুরু হয়। পুলিশ বাধা দিলেও কয়েক জন মরিয়া হয়ে কালিন্দ্রী হাই স্কুলে বাইরে থেকে টুকলি ছুড়ে দেন। স্কুলের বাইরে পুলিশের সঙ্গে অভিভাবকদের একাংশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াও হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ কিছু অভিভাবকের পিছু ধাওয়া করে। লাঠিও চালায়। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে কয়েকজন মহিলা অভিভাবক পড়ে জখমও হন। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। এ দিন ইংরেজবাজার ব্লকের কয়েকটি স্কুলেও নকল সরবরাহের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

এ দিন মানিকচক হাইস্কুলের বাঁধে যাতায়াতের দু’দিকেই প্রচুর সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়। মানিকচকের বিডিও বলেন, ‘‘কালিন্দ্রী স্কুলে দু’ঘন্টা ছিলাম. বাইরে থেকে কোনও নকলই সরবরাহ হয়নি।’’ মানিকচক স্কুলের বাইরে এক যুবক তো বলেই ফেললেন, ‘‘এত কষ্ট করলাম। কোনও কাজই হল না। অঙ্কের দিন ফের আসব।’’

উত্তর দিনাজপুরেও টুকলি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

টুকলি রুখতে এ দিন জেলাশাসক আয়েশা রানি ও রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক থেণ্ডুপ নামগিয়েল শেরপা জেলার রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। গোয়ালপোখর ১ ব্লকের ধরমপুর হাইস্কুলের পরীক্ষার্থী ও স্কুলের বিভিন্ন জায়গা থেকে টুকলি উদ্ধার করেন জেলাশাসক। রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক বেশ কিছু স্কুলে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের কয়েকজনের কাছ থেকে টুকলি উদ্ধার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন