হেডফোন কানে, উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ

ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন শুভঙ্কর। পরিবার সূত্রে খবর, সেই সুবাদে বেশ কিছু দিন যাবতই তিনি দিল্লিতে ছিলেন। গত মাসে ভোট দিতে শুভঙ্কর দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বংশীহারি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০৪:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোট দিতে বাড়ি এসেছিলেন বংশীহারির শুভঙ্কর হালদার (১৯)। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির সামনের আমগাছ থেকে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তাঁর পকেটে মোবাইল ফোন মিলেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মোবাইলের হেডফোন লাগানো ছিল ওই তরুণেরই কানে। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, মৃত্যুর আগে কি কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন শুভঙ্কর? যদি বলে থাকেন, তা হলে কার সঙ্গে? পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়ছে, প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার পরেই আত্মঘাতী হয়েছেন শুভঙ্কর। যদিও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এমন কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। তদন্ত চলছে।

Advertisement

ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন শুভঙ্কর। পরিবার সূত্রে খবর, সেই সুবাদে বেশ কিছু দিন যাবতই তিনি দিল্লিতে ছিলেন। গত মাসে ভোট দিতে শুভঙ্কর দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরেন। দীর্ঘদিন ধরে জলপাইগুড়ির জেলার বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকজনেরাই। তাঁদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত শুভঙ্কর ওই যুবতীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কথা বলতে বলতেই এক সময়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েও যান। ব্যক্তিগত বিষয় বলে তা নিয়ে আত্মীয়েরা এই নিয়ে তখন বেশি ভাবেননি।

এ দিন সকালে পরিবারের লোকেরা দরজা খুলে বার হতেই বাড়ির সামনে আম গাছে শুভঙ্করের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠান হয়। মৃত শুভঙ্করের মামা তপন বিশ্বাস জানান, প্রেমঘটিত কোনও ঘটনার জেরে তাঁর ভাগ্নে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, পরিবারের কারও সঙ্গে শুভঙ্করের কোনও মনোমালিন্য ছিল না।

Advertisement

প্রশ্ন উঠেছে, তাই যদি হয়, তা হলে ছেলে সারা রাত বাইরে থাকা সত্ত্বেও কেন কেউ বেরিয়ে গিয়ে খোঁজ করলেন না? পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শুভঙ্করের কানে হেডফোন লাগানো ছিল, পকেট থেকে মোবাইলও মিলেছে। এসডিপিও বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুভঙ্কর মৃত্যুর আগে কার সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেটা কল লিস্ট খতিয়ে না দেখে বলা সম্ভব নয়। সেই ফোনই তাঁর মৃত্যুর কারণ কিনা, তা নিয়েও তদন্তের অবকাশ রয়েছে। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন