Coronavirus

ভিড় রুখতে লাঠি হাতে দাপাল পুলিশ

জেলার পাশাপাশি শহর এলাকাতেও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০৭:৩৭
Share:

পদক্ষেপ: ইংরেজবাজারে লকডাউন বিধি প্রয়োগে তৎপরতা। নিজস্ব চিত্র

বুধবার দুপুর ১২টা। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়ে হাজির হলেন ডিএসপি, আইসি। মাইক হাতে নিয়ে করোনা মোকাবিলায় শহরবাসীকে ঘরে থাকার আর্জি জানাচ্ছিলেন ইংরেজবাজার থানার আইসি মোদনমোহন রায়। তখনই মোবাইল বেজে উঠল তাঁর। গাড়ি নিয়ে তিনি পৌঁছলেন রথবাড়িতে। সেখানে ভিড় দেখে লাঠি হাতে তাড়া করলেন তিনি।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকে এ ভাবেই লকডাউন সফল করতে তৎপর হল জেলার পুলিশ-প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে সাত দিন ইংরেজবাজার শহরে চলবে পূর্ণ লকডাউন। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আনাজ, মাছ বাজার খোলা থাকবে। দুপুর ২টার পরে বন্ধ হবে মুদির দোকানও। পান, চায়ের দোকানে জমায়েত, রাস্তায় আড্ডাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শহরে টোটো, ই-রিকশা, রিকশা, অটো চলবে না। জাতীয় সড়কে বাস চলাচলেও একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে।

জেলার পাশাপাশি শহর এলাকাতেও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার শহরে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। এ দিনও আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক শহরবাসী। চিকিৎসকদের দাবি, “করোনা সংক্রমণ রুখতে হলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সংক্রমণ রুখতে তা-ই শহরে ফের শুরু লকডাউন।

Advertisement

লকডাউন সফল করতে সক্রিয় পুলিশ। ইংরেজবাজার থানার আইসি এ দিন মাইকে ঘোষণা করেন, “সাধারণ মানুষের পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মহকুমাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, একাধিক থানার পুলিশকর্তারা। তাই সকলে সচেতন হন। পুলিশ আপনাদের সব রকম সহযোগিতা করবে।” আইন অমান্য করলে শাস্তির বিষয়টিও মাইকে ঘোষণা করেন তিনি। পরে লাঠি হাতে এলাকাগুলি দাপিয়ে বেড়ান।

পুলিশ দেখেই দোকান বন্ধ করতে শুরু করে দেন একাংশ ব্যবসায়ী। পুলিশ ফিরতেই ফের শুরু কেনাবেচা। পরে ফের সে সব এলাকায় গিয়ে লাঠি তোলে পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকা। জানিয়ে দেয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরে প্রবেশের ছাড়পত্র কাউকে দেওয়া হবে না।

লাঠি হাতে বিকেলেও রাস্তায় নামতে দেখা যায় পুলিশকে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “সকালে আনাজ-মাছের দোকান, বিকেলে মুদি এবং রাতে মোড়ের আড্ডা-ঠেক বন্ধ করতে রুটিন করে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের ছাড় দেওয়া সময় ছাড়া রাস্তায় দেখলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন