প্রতিমার দেহ উদ্ধার হল না এখনও

পাশের গ্রাম ছবিলালটোলার এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে কিশোরী কন্যা প্রতিমাকে খুন করে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বাবা-মা ধীরেন ও সুমতি মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানিকচক শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০৫:৪৯
Share:

প্রতিমা মণ্ডল।

গঙ্গাবক্ষে বন্ধ হল তল্লাশি। সোমবার সকালেই ফিরে গেল রায়গঞ্জ থেকে আসা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। এ দিন তারা আর গঙ্গায় তল্লাশিতে নামেনি। ফলে ভূতনির মহেন্দ্রটোলার নবম শ্রেণির ছাত্রী প্রতিমা মণ্ডলের (১৬) দেহ উদ্ধার এখন বিশবাঁও জলে। এখন ভরসা, যদি দেহটি ভেসে গিয়ে ফরাক্কা ব্যারাজের লকগেটে আটকে যায় বা সাধারণ ভাবে দেহটি কোনও ভাবে নদীতে ভেসে ওঠে। ভূতনি থানার পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট দলটি ফিরে গেলেও এদিন স্থানীয় ভাবে মাঝিরা নৌকো নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। এ দিকে প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিমার দেহ যদি উদ্ধার না হয়, তবে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কিন্তু থেকেই যাবে।

Advertisement

পাশের গ্রাম ছবিলালটোলার এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে কিশোরী কন্যা প্রতিমাকে খুন করে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বাবা-মা ধীরেন ও সুমতি মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার সকালে বস্তাবন্দি করে নবম শ্রেণীর ছাত্রী ওই কিশোরীর দেহ সাইকেলে করে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গা ঘাটে। তার পরে নৌকোয় করে মাঝ নদীতে গিয়ে সেই দেহ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি দেখে ফেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেন। ওই ঘটনায় ভূতনি থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে প্রতিমার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র ও প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবারই আদালতে তুলে বাবাকে চার দিনের জন্য হেফাজতেও নেয় পুলিশ। মায়ের জেল হেফাজত হয়।

পুলিশের দাবি, প্রতিমার দেহ বস্তায় পুরে তাতে বড় বড় পাথরও ভরা হয়। তাতেই বস্তাটি জলে ভেসে ওঠেনি। কিন্তু দেহ না পাওয়া গেলে ময়নাতদন্তও হবে না। এলাকার কিছু বাসিন্দারই বক্তব্য, সম্পর্কিত দিদির দেওরের সঙ্গে বিয়ের কথা শুনে বাবা-মা এতটাই রেগে গেলেন যে, কিশোরী কন্যাকে খুন করে ফেললেন, এমনটা হওয়া অনেকটাই অস্বাভাবিক। ধীরেনবাবুকে এলাকার মানুষ শান্ত প্রকৃতির মানুষ বলেই চেনেন। প্রতিমা আত্মহত্যা করেছে, এমনটাও অনেকে বিশ্বাস করছেন না। সেক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা জানতে ময়নাতদন্ত জরুরি বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এখন গঙ্গার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন