তৃণমূল নেতা সুবোধ বাইনকে খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের ক্ষতিই হল বলে মনে করছেন দলের স্থানীয় নেতারা। তবে বিজেপি কতটা লাভবান হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে ওই এলাকা সিপিএমের প্রভাব ছিল শুরু থেকে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েত ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৭টি। সিপিএম পেয়েছিল ৬টি এবং বিজেপি ৩টি, নির্দল ২টি। পরবর্তীতে সিপিএম এবং নির্দল সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিলে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।
স্থানীয় সুত্রের খবর, তৃণমূল বোর্ড গঠন করার বিষয়ে বিরোধী সদস্যদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সুবোধবাবুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সিপিএম নেতা অশোক সিংহ বলেন, ‘‘এলাকা সিপিমের ছিল। বিজেপির কোনও দিন প্রভাব ছিল না। গত নির্বাচনে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী বের হয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়। এলাকায় বিজেপির প্রভাব বিস্তার করছে তার কারণ তৃণমূলই।’’
চাকুলিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ সেতাবুদ্দিন বলেন, ‘‘সুবোধবাবু এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। আর সেই জন্যই তাঁকে খুন হতে হল। বিজেপি এলাকায় সংগঠন করতে পারছিল না। বিজেপির কাছে বড় কাঁটা ছিল সুবোদবাবু।’’
উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সম্পাদক বিশ্বনাথ মৃধা অবশ্য বলেন, ‘‘এলাকায় বিজেপির সাংগাঠনিক শক্তি ভাল। তাই বিজেপিকে বদনাম করার জন্য রাজ্যের শাসক দল বিজেপির নামে অপ্রচার করছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল যতই বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করবে, ততই বিজেপির লাভ। কেননা এই খুনের সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়।’’
তিনি জানান, সুবোধবাবু যে এলাকার বাসিন্দা, সেই হাসান সংসদে গত নির্বাচনে বিজেপির সদস্য জয়ী হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় বিজেপি দিন দিন শক্তি বাড়াচ্ছে, এতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।’’
তৃণমূল নেতা ভোলা রায়ের অবশ্য দাবি, ‘‘সুবোধবাবু ভাল সংগঠক ছিলেন। বিজেপি এলাকায় কিছুতেই প্রভাব বিস্তার করতে পারছিল না। তাই খুন করেই তাঁকে সরানো হল।’’