Malda

জমা জলে দুর্ভোগ শহরবাসীর, ইংরেজ  বাজারে জেসিবি নিয়ে তৎপর জেলাশাসক

জল যন্ত্রণা থেকে ইংরেজবাজার পুরসভার বাসিন্দাদের মুক্তি দিতে জেসিবি (আর্থ মুভার) নিয়ে পথে পথে ঘুরলেন মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ২১:৪৯
Share:

জমা জল সরাতে কার্যত হিমসিম খেতে হল জেলাশাসক এবং তাঁর সঙ্গী সরকারি কর্মীদের।

জল যন্ত্রণা থেকে ইংরেজবাজার পুরসভার বাসিন্দাদের মুক্তি দিতে জেসিবি (আর্থ মুভার) নিয়ে পথে পথে ঘুরলেন মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। কিন্তু ফল মিলল না তেমন। জমা জল সরাতে কার্যত হিমসিম খেতে হল জেলাশাসক এবং তাঁর সঙ্গী সরকারি কর্মীদের।

Advertisement

বুধবার থেকে বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত মালদহ জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। সরকারি হিসেবে ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভা এলাকায়। ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ড জলমগ্ন। পুরসভার দু’টি বাজারে থই থই করছে জল। বেশীর ভাগ ওয়ার্ডে পাম্প বসিয়ে জল বার করা হচ্ছে। কিন্তু বিপুল পরিমানে জল বের করার পথই নেই পুর এলাকায়। ভরসা মহানন্দা নদী। কিন্তু সেই নদীর তির জবরদখল করে গজিয়ে উঠেছে বসতি। সেই এলাকাও জলমগ্ন। ফলে বিপাকে প্রশাসন।

জল বার করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা জেসিবি নিয়ে শুক্রবার শহরের পুরোনো নিকাশি-ব্যবস্থা পুনুরুদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে গত কয়েক বছরে সেই নিকাশি-ব্যবস্থা কার্যত মাটি মাফিয়ারা বুজিয়ে প্রমোটারি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ। ফলে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূরও শুক্রবার জলবন্দি এলাকায় ঘুরেছন। তিনি বলেন, ‘‘জল জমে দুর্দশার মধ্যে পুর নাগরিকেরা। দ্রুত জল সরানোর চেষ্টা চলছে।’’

Advertisement

আগে ইংরেজবাজার শহরে বর্ষায় জমা অতিরিক্ত জল রবীন্দ্রভবন হয়ে চাতরা বিলে যেত। কিন্তু পুরোন নিকাশি-ব্যবস্থা মাটি মাফিয়াদের দাপটে প্রায় বন্ধ। তাই জল বার হতে পারছে না বলে অভিযোগ। জেলাশাসক শুক্রবার জেসিবি নিয়ে রবীন্দ্রভবন এলাকায় মাটি কাটার ব্যবস্থা করলেও জল সরানো সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক কোনওরকম মন্তব্যও করেননি। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে শহরের নিকাশি-ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য প্রায় ৪৫কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে শহরবাসীর অনেকেরই অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন