আজ আস্থা ভোট, নেই পুরপ্রধান

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আস্থাভোট করতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবির যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়েছে।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস 

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

প্রশান্ত মিত্র। নিজস্ব চিত্র

গঙ্গারামপুর পুরসভার আস্থাভোটে আজ, সোমবার থাকছেন না পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তিনি আজ ডিভিশন বেঞ্চে এই আস্থাভোটের শুনানির জন্য কলকাতায় থাকবেন। সেখান থেকেই পুরসভার আজকের ঘটনার উপর নজর রাখবেন। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতেই আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আস্থাভোট করতে চলেছেন পুরসভার তৃণমূল শিবিরের কাউন্সিলররা।

Advertisement

এই রকম একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আস্থাভোট করতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবির যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রশান্তের অভিযোগ, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জোর করে পুরসভা দখল করতে চাইছে তৃণমূল। এজন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও মালদহ থেকে প্রচুর বহিরাগত রবিবার গঙ্গারামপুরে এনে রেখেছে তারা। যদিও বহিরাগত তত্ত্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্টে আস্থাভোট এড়ানো নিয়ে প্রশান্তকেই দুষছে তৃণমূল শিবির।

শাসক শিবিরের কাউন্সিলর অমল সরকার বলেন, ‘‘আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে আস্থাভোট করব। যেহেতু ডিভিশন বেঞ্চ আজকের আস্থাভোটে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি, তাই ভোট করতে আইনি বাধা নেই।’’ প্রশান্তের দাবি, ডিভিশন বেঞ্চ আস্থাভোটের উপরে স্থগিতাদেশ না দিলেও হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা মামলা ডিভিশন বেঞ্চ যেহেতু গ্রহণ করেছে, তাতে এমনিতেই হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ পড়ে যায়। তাই তিনি এ দিনের আস্থাভোটে থাকবেন না। পাশাপাশি, আজ পুরসভায় কারা কীভাবে ভোট করছেন, তার উপর নজরদারি চালিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট ডিভিশন বেঞ্চকে জানাবেন। প্রশান্তের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা আজ আইন ভেঙে আস্থাভোট করবেন, আদালত তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি বেঞ্চকে জানাব।’’

Advertisement

প্রশান্তের আরও দাবি, আজকের যে আস্থাভোট হবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ। কারণ, অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকেই ১০ জন কাউন্সিলরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গোপন আস্তানায় রেখে ‘চাপ’ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ানো হচ্ছে বলে প্রশান্তের অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আস্থাভোট পিছিয়ে দিয়ে পুরপ্রধানই নীতিবিরোধী কাজ করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন