হাসপাতাল থেকে উধাও অন্তঃসত্ত্বা

দেড় মাস আগে রাস্তায় ওই মহিলাকে বসে কাঁদতে দেখে ধূপগুড়ি হাসপাতালে খবর দেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এরপর বিএমওএইচ নিজে গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে এসে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৪:০৬
Share:

হাসপাতালে এই শয্যায় ছিল ওই মহিলা। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা। শুক্রবার রাতে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ডিউটি বদলের পর প্রসূতি বিভাগে এসে এক নার্স প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাটি বিএমওএইচকে জানান। খবর জানাজানির হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় ধূপগুড়ি শহরে।

Advertisement

ধূপগুড়ির বিএমওএইচ সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, “ওই মহিলা মাঝে মধ্যে একা একা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেত। তার জন্য রক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছিল। রবিবার কী ভাবে মহিলা উধাও হয়ে গেল তা দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে। ধূপগুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছে।”

দেড় মাস আগে রাস্তায় ওই মহিলাকে বসে কাঁদতে দেখে ধূপগুড়ি হাসপাতালে খবর দেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এরপর বিএমওএইচ নিজে গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে এসে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। এর আগে ওই মহিলা নাগরাকাটার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেও পালিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

অসমের বাসুগাঁওয়ের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সেখানকার একটি দোকানের কর্মচারি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা সিকান্দার চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। সেখানেই তারা বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মাস ছয়েক আগে স্বামীর সঙ্গে ট্রেনে করে কানপুরে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। ধূপগুড়ির আলতাগ্রাম স্টেশনে কোনও কারনে ট্রেন দাঁড়ালে তাঁকে নামিয়ে দিয়ে তার স্বামী চলে যায়। তখন ডুয়ার্সের দুরামারির চায়না ডিপোর এক মহিলা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আশ্রয় দেন। তখন তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। ওই বাড়িতে পাঁচ মাস থাকার পর তার গর্ভের সন্তান দিতে হবে বলে আশ্রয়দাতা দাবি করায় তিনি সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে বানারহাট থানার মাধ্যমে ওই মহিলা নাগরাকাটা হাসপাতালে স্থান পায়। কয়েকদিন থাকার পর ওই হাসপাতাল থেকেও তিনি পালিয়ে যান।

অসহায় অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলা যখন ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন ধূপগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্য দেয়। সেই নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য অলোক চক্রবর্তী বলেন, “অবাক ঘটনা। হাসপাতাল থেকে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা উধাও হয়ে যায় কী ভাবে? অবিলম্বে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে খুঁজে বের করতে হবে। দরকারে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘেরাও করে জবাব এর চাইব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন