মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি জোরদার

কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার ব্যাপারে বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অসম সীমানাও সিল করা হয়েছে। সব যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:১৬
Share:

তদারকি: রাসমেলার মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলের তদারকিতে সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য কোচবিহার জেলাজুড়ে জোরদার নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের অসম সীমানা ও বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ওই দু’টি এলাকার সমস্ত যানবাহনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এমনকী কোচবিহার শহরের বিভিন্ন যানবাহনেও তল্লাশি হচ্ছে।

Advertisement

কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার ব্যাপারে বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অসম সীমানাও সিল করা হয়েছে। সব যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দু’দিনের সফরে কোচবিহারে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওই দিন বিকেলে কোচবিহার সাগরদিঘি লাগোয়া চত্বরে নির্মিত অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। একটি প্রশাসনিক বৈঠকেও ওই দিন তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। মঙ্গলবার রাসমেলার মাঠে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাসমেলার মাঠে ওই কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে পুলিশ পাহারায়। ওই মঞ্চ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদান করবেন তিনি। পাশাপাশি, একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ঘোষণাও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের রাস্তায় নজরদারি চলছে। নজরে রয়েছে বিভিন্ন হোটেল, লজ, আবাসনে কারা থাকছেন তার ওপরেও। সেইসঙ্গে সভাস্থলে ডোরফ্রেম বসানো, মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। রাসমেলা ময়দানে সভাস্থলে ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারির কথাও ভাবা হচ্ছে। ওই কাজে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মীর যাতে অভাব না হয় সে জন্য ভিন জেলার পাশাপাশি অন্য বাহিনীর নিরাপত্তা কর্মীদের সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারেও পরিকল্পনা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য জানান, প্রশাসনিক প্রোটকল মেনে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ঐসার্কিট হাউসও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে রাত্রিবাস করলে, যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার জিরানপুরে একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে ১২টি দেশি বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল। শুক্রবার তোর্সা নদীর চরে সিআইডি’র বোম্ব স্কোয়ার্ডের কর্মীরা সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। কোনওরকম অপ্রীতিকর অবস্থা রুখতে, নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না, বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন