রাতারাতি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল স্কুল বাড়ি, শোরগোল মালদহে

স্কুল ভেঙে পড়ার খবর শিক্ষকরা জানিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শককে। সেটা জানার পরে পরিদর্শক ইংরেজবাজার থানায় পুরো ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা             

মালদহ শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৫৭
Share:

মালদহে ভেঙে পড়া স্কুল। নিজস্ব চিত্র।

রাতারাতি গায়েব আস্ত একটা সরকারি প্রাথমিক স্কুলের বাড়ি। মালদহ শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই স্কুল বাড়িটি। প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে স্কুলটি এমনিতেই ভেঙে পড়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

স্কুল ভেঙে পড়ার খবর শিক্ষকরা জানিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শককে। সেটা জানার পরে পরিদর্শক ইংরেজবাজার থানায় পুরো ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ করেছেন। তবে এমন কাণ্ড কী করে ঘটল তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফলে গোটা ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এর পিছনে প্রমোটাররাজের গন্ধও পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

যদিও ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘স্কুলটি ভগ্নদশায় ছিল। ঝোপ-জঙ্গলে সাপের আস্তানা গড়ে উঠেছিল । দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণেই স্কুলটি এমনিতেই ভেঙে পড়ে গিয়েছে। পুরো বিষয়টি ডিআইকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীতলা এলাকায় প্রায় তিন কাঠা জমির উপরে ছাত্রবন্ধু প্রাথমিক স্কুলটি। প্রায় ৬১ বছরের পুরনো স্কুলে বর্তমানে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ২ জন। লকডাউন থেকে স্কুলটি বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবে স্কুলে কারও যাতায়াত ছিল না বললেই চলে। হঠাৎ করে স্কুলটি কে বা কারা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে এখন বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

পরিদর্শক সুনীতি সাঁপুই বলেছেন, ‘‘কী ভাবে স্কুলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, কারা এই ঘটনার পিছনে জড়িত সেই সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানতে পারিনি। তবে সরকারি একটি স্কুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন