Property Damage

জলস্ফীতি: ২৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট গেল নবান্নে

বিপর্যয়ের পরে, রাজ্য সরকারের তরফে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা হয়। সে টাকা পুরোপুরি দুর্যোগ পরিকল্পনা খাতে খরচের জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২৭
Share:

এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয় কালিম্পঙের রংপুরে।  ছবি-সৌজন্য: জিটিএ।

তিস্তার জলস্ফীতিতে কালিম্পং জেলার প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির লিখিত রিপোর্ট নবান্নে পাঠানো হল। জেলা প্রশাসন ও ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-র তরফে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সমীক্ষার কাজ চলছে। বাড়িঘর থেকে গাড়ি, দোকান-সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট আর এক দফায় তৈরি হবে। বুধবারই জিটিএ-র বিশেষ সভায় ক্ষতির খতিয়ান পেশ করা হয়। তাতে জানানো হয়েছে, সার্বিক রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে দরবার করা হবে।

Advertisement

জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বলেন, ‘‘গত ৪ অক্টোবরের পর থেকে অন্তত তিন সপ্তাহ ধরে উদ্ধারকাজ হয়েছে। এখনও চলছে। ত্রাণশিবিরে মানুষ রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ২৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব সামনে এসেছে। আমরা আবারও সমীক্ষা করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করব। রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

সূত্রের খবর, প্রাথমিক রিপোর্টে কালিম্পং-১ এবং লাভা ব্লক মিলিয়ে ৩৩৯টি বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আংশিক নষ্ট হয়েছে ৫১টি বাড়ি। সরকারি ১০টি ত্রাণশিবিরে ৪৭৫টি পরিবারের ১,৮৩৪ জন ছিলেন। আপাতত সে সংখ্যা কমে ১০৮টি পরিবারের ৪০১ জনে দাঁড়িয়েছে। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্কুল খোলার বন্দোবস্ত হয়েছে। বিলি হয়েছে ওষুধ, খাবার, বইখাতা, বাসনপত্র। তিস্তাবাজার, রংপু, গেলখোলা, রম্ভি, রিয়াং, ত্রিবেণীর মতো এলাকায় পুর্নগঠনের কাজ চলেছে।

Advertisement

বিপর্যয়ের পরে, রাজ্য সরকারের তরফে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা হয়। সে টাকা পুরোপুরি দুর্যোগ পরিকল্পনা খাতে খরচের জন্য বলা হয়েছে। জিটিএ প্রধান ‘ন্যাশনাল হাইড্রো-ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন’ (এনএইচপিসি)-কে তিস্তা বরাবর বাঁধ দেওয়ার জন্য বলেছেন। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও দাবি করেছেন, তিনি কালিম্পং জেলার রিপোর্ট আর্থিক সাহায্যের জন্য দিল্লিতে পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে বরাদ্দ করা দুর্যোগ মোকাবিলার টাকা থেকে খরচের দাবি তুলেছেন সাংসদ। জিটিএ-র অফিসারেরা জানান, দীপাবলির পরে কেন্দ্র, রাজ্য, এনএইচপিসি-র তরফে সাহায্যের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সতেরো দিন বন্ধ থাকার পরে খুলেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার সংস্কারের ভার রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। সে জন্য কেন্দ্র ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

জিটিএ প্রধান বলেন, ‘‘কালিম্পং জেলার ক্ষতি কারও একার পক্ষে ঠিক করা সম্ভব নয়। সরকারি সাহায্য লাগবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন