অনুমতি মিলবে পুরনো পথেও

পুরানো পদ্ধতিতে পুজোর অনুমতি দেওয়া চালু রেখেই অনলাইনেও অনুমতির ব্যবস্থা চালু করল শিলিগুড়ি পুলিশ। রবিবার বিকালে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের একটি ভবনে পুলিশের এই নতুন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৪
Share:

জননীর আঁখিখানি। শিলিগুড়িতে বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি

পুরানো পদ্ধতিতে পুজোর অনুমতি দেওয়া চালু রেখেই অনলাইনেও অনুমতির ব্যবস্থা চালু করল শিলিগুড়ি পুলিশ। রবিবার বিকালে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের একটি ভবনে পুলিশের এই নতুন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে অনুষ্ঠানেই পুলিশ অফিসারেরা জানিয়ে দিলেন, এ বছর পুরোপুরি অনলাইনে নয়, পুজো উদ্যোক্তাদের সময় বাঁচাতে আংশিকভাবে অনলাইনে অনুমতির ব্যবস্থা করতে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দফতর, বিভাগ থেকে নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে নথিপত্র নির্ধারিত ওয়েবসাইটে আপলোড করলেই অনুমতিও অনলাইনে মিলবে। আর ইন্টারনেটে সমস্যা হলে পুরানো পদ্ধতিতে সিঙ্গেল উইনডো সিস্টেমে প্রতি বছরের মতো অনুমতি দেওয়া হবে।

Advertisement

‘প্রণাম’ নামের ওয়েবসাইটির উদ্বোধন করে পর্যটন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যের সমস্ত দফতরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুলিশও সেই প্রক্রিয়া শুরু করল। এ বছর সমস্ত কিছু অনলাইনে না হলেও শুরুটা হল। আগামীদিনে পুরোপুরি অনলাইন ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হবে।’’

কমিশনারেটের পুলিশ অফিসারেরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে নির্ধারিত দিনগুলিতে থানাগুলি থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়। তার পরে নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে সকাল থেকে বিকাল অবধি ঘোষণা করা জায়গায় লাইন দিয়ে সিঙ্গল উইনডো ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন দফতর, বিভাগের অনুমতি মেলে। তার পরে আবার সমস্ত নথি পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জমা দিয়ে পুজোর অনুমতি নিতে হয়। অনলাইনে সমস্ত ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে। সেগুলি নিয়ে দফতরগুলিতে গিয়ে কেবলমাত্র টাকা জমা দিতে হবে। বাকি সমস্ত কিছুই অনলাইনে থাকবে। আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে তা উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে দফায় দফায় জানানো হবে। যেহেতু, সমস্ত বিভাগের টাকা জমা নেওয়ার ব্যবস্থা ইন্টারেনেটের মাধ্যমে হয়নি, তাই এ বার ব্যবস্থাটি পুরোপুরি অনলাইন নয়।

Advertisement

এ দিন ক্লাব উদ্যোক্তাদের তরফে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির চাঁদা ঠিকঠাক দেওয়া, ট্রাফিক ব্যবস্থা, বিসর্জনের সময়সীমা বাড়ানোর মতো বিষয়টি পুলিশকে ফের দেখতে অনুরোধ করা হয়। তবে সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক ক্লাব উদ্যোক্তা বিষয়টি পরিস্কার নয় বলে জানিয়ে দেন। তেমনিই, পুলিশ সেফ ড্রাইভ-সেফ লাইফের বোর্ড মন্ডপে ঝোলানোর কথা বলা হলেও সেগুলির সরঞ্জাম কোথা থেকে মিলবে তা কয়েকটি পুজো কমিটি জানতে চান। তা শুনে পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা জানান, বড় পুজোগুলি ক্যামেরা লাগাতেই হবে। অন্যরাও ইচ্ছা করলে পারেন। সংশ্লিষ্ট থানা, ট্রাফিক গার্ডে গিয়ে সব জেনে নিতে হবে।

বৈঠকের পর কয়েকজন ক্লাব কর্তা জানান, পুলিশ নানা ব্যবস্থা করছে ঠিকই। কিন্তু বৈঠকে তা পরিস্কার করা হচ্ছে না। সেই থানা-ফাঁড়িতে গিয়েই সমস্যা মেটাতো বলা হচ্ছে। বৈঠকে সব বিস্তারিত বলে দিলে আর কোনও সমস্যাই থাকে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন