বিজেপি কর্মীর বাড়িতে খেলেন রাহুল

শিলিগুড়ি লাগোয়া নকশালবাড়ি থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রাজু মাহালি নামে এক দলিতের বাড়িতে পাত পেড়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৮
Share:

ভোজ: বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া সারছেন রাহুল সিংহ। নিজস্ব চিত্র

দলের বিস্তারক পদে শিলিগুড়িতে আপাতত বিজেপির অগ্রাধিকার সাধারণ সমর্থকেরাই। শুক্রবার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের কর্মসূচির জন্য দলের সমর্থকদের বাড়ি বেছে নিয়েছিল বিজেপির দার্জিলিং জেলা কমিটি। এ দিন শহরের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদনগরে বিস্তারক কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন রাহুলবাবু। সংগঠন গোছাতে সারা ভারত জুড়ে বুথে বুথে বিস্তারক কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি।

Advertisement

শিলিগুড়ি লাগোয়া নকশালবাড়ি থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রাজু মাহালি নামে এক দলিতের বাড়িতে পাত পেড়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন তিনি। তার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রাজুকে দলে যোগদান করিয়েছিল তৃণমূল। তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় স্থানীয় নেতৃত্বকে। এ দিন রাহুলবাবু যে বাড়িতে খেয়েছেন, যে বাড়িগুলিতে গিয়েছিলেন, সেই বাড়ির কর্তারা অধিকাংশই বিজেপি সমর্থক বলে পরিচিত। এই ঘটনার পরে এলাকার তৃণমূলের অনেক নেতাই টিপ্পনী কাটছেন, ‘‘আগেরবারে যাঁর বাড়িতে অমিত শাহ খেয়েছিলেন, তিনি আমাদের দলে চলে এলেন। তাই রাহুলবাবু এ বারে আর কোনও ঝুঁকিই নিতে চাননি!’’

শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ রাহুলবাবু প্রমোদনগরের কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলেন। এলাকারই একটি বাড়িতে দুপুরের খাওয়া সারেন। মাটিতে বসে কলাপাতায় ভাতের সঙ্গে কলাইয়ের ডাল, পটোল-কুমরো ভাজা এবং পাঁচ মেশালি তরকারি খেয়েছেন রাহুলবাবুরা। বাড়ির কর্তা পেশায় রাজমিস্ত্রি ভগীরথ রায়। তিনি গলায় বিজেপির উত্তরীয় ঝুলিয়ে ছিলেন। বললেন, ‘‘অনেক দিন ধরে বিজেপি করছি। আমার পরিবারের সকলেই বিজেপির সমর্থক।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের কাজ বোঝাতে কালু গুরুঙ্গ, পবন পাশোয়ানের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। শেষে প্রমোদনগরে বুথের কর্মীদের নিয়ে সভাও করেছেন। সে সভাতে আসেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী কালুও। তিনি জানান, ‘‘বিজেপিকে ভাল লাগে। আমি এই দল করি।’’

Advertisement

এই কর্মসূচিতে সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগের কথা বললেও প্রমোদনগরে কেন দলের সমর্থকদের বাছা হল, সে প্রশ্নে রাহুলবাবু বলেন, ‘‘আমি জানি না এঁরা দলের সমর্থক কি না। রাজ্যের সত্তর শতাংশ বুথে আমাদের কর্মসূচি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের কথা জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক পদক্ষেপে বেশিরভাগ মানুষই এখনই বিজেপি সমর্থক।’’ শিলিগুড়ির সভার পরে আজ শনিবার জলপাইগুড়িতে বিস্তারক কর্মসূচি রয়েছে রাহুলবাবুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন