যাত্রা-শুরু: রাধিকাপুর স্টেশনে ট্রেনটিকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে যাত্রা শুরু করাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
প্রায় এক যুগ পর উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলপথে পণ্য পরিবহণ শুরু হল।
শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে এর সূচনা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি থেকে রিমোটে যখন ট্রেনের উদ্বোধন হল, ঠিক তখনই রাধিকাপুর স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে যাত্রা শুরু করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। দিল্লির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
রেল সূত্রের খবর, আপাতত ওই রেলপথে কেবল সরকারি স্তরে পণ্য আমদানি রফতানি হবে। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের চাহিদা বুঝে পরবর্তীতে তার প্রসার ঘটানো হবে। ভবিষ্যতে ওই রেলপথ দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোরও ভাবনা রয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম উমাশঙ্কর সিংহ যাদব জানান, এ দিন প্রায় ৩০ লক্ষ লিটার ডিজেল বোঝাই ৪৩টি ট্যাঙ্ক ওয়াগন শিলিগুড়ির নুমালিগাঁও থেকে ছেড়ে বারসই, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ স্টেশন হয়ে রাধিকাপুর স্টেশন সংলগ্ন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের বিরল স্টেশন হয়ে পার্বতীপুর পর্যন্ত গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ভারত সরকার আপাতত ওই রেলপথ দিয়ে প্রতি মাসে দু’বার করে বাংলাদেশে তরল পেট্রোলিয়াম রফতানি করবে। পরে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী বেসরকারিভাবেও পণ্য আমদানি রফতানি শুরু হবে।’’
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে রাধিকাপুর থেকে বাংলাদেশের বিরল স্টেশন পর্যন্ত সংযোগকারী রেলপথ তৈরির কাজ শেষ হয়।