ধর্ষণ: গলায় দড়ি ছাত্রীর

পড়শি যুবককে কাকু বলে ডাকত একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। সেই কাকুই তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠল। ধর্ষণের অপমানেই ওই ছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ির গড়ালবাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০২:১৪
Share:

পড়শি যুবককে কাকু বলে ডাকত একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। সেই কাকুই তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠল। ধর্ষণের অপমানেই ওই ছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ির গড়ালবাড়িতে।

Advertisement

ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জিত রায় পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনার পরে শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযুক্ত যুবক ও তার স্ত্রীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা দিনমজুর৷ সংসার টানতে তাঁর মা-ও কখনও চা বাগানে অস্থায়ী শ্রমিক, কখনও দিনমজুরের কাজ করেন৷ অন্য দিনের মতই বৃহস্পতিবারও সকালে কাজে গিয়েছিলেন ছাত্রীর মা ও বাবা৷ তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে দাদুর বাড়িতে থাকে৷ ছেলেও বাড়িতে ছিল না৷ ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, ‘‘বড় মেয়ে একাই ছিল। বিকেলে তাকে নিজের বাড়িতে ডাকে সঞ্জিত৷ তার পর বাড়ি লাগোয়া বাগানে তাকে ধর্ষণ করে৷ সঞ্জিতের স্ত্রী বিষয়টি দেখে ফেলে ছুটতে ছুটতে গিয়ে আমায় খবর দেয়৷ কিন্তু আমি বাড়ি ফিরে দেখি মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে৷’’ যদিও সঞ্জিতের স্ত্রী ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ মানতে চাননি৷ তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘আমার স্বামী কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলছিল৷ সেটা ছাত্রীর মায়ের পছন্দ হয়নি বলে তিনি মেয়েকে বকাঝকা করেন। তাতেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে৷’’ এ দিন জলপাইগুড়ি হাসপাতালে দেহটিচর ময়নাতদন্ত হয়।

Advertisement

ওই গ্রামের বাসিন্দা কেরন রায়, আফিজুদ্দিন মহম্মদরা অবশ্য অভিযোগ করেন, সঞ্জিত ধর্ষণ করেছে বলেই ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে৷ ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে সঞ্জিতকে কাকু বলত। সে এমন সর্বনাশ করল। আমরা চাই সঞ্জিতের কড়া শাস্তি হোক৷’’ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গীতা রায় বলেন, ‘‘আমরা চাই তদন্তে সঠিকটা বেরিয়ে আসুক৷’’ অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, তার খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন