দক্ষিণী: মালদহ কাঁপাচ্ছে এই কাঁচা আমই। —নিজস্ব চিত্র।
আম রাজ্য বলে পরিচিত মালদহ. অথচ সেই মালদহেই এখন দক্ষিণ ভারতের কাঁচা আম খেতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। দামও চড়া থাকায় সেই দক্ষিণী আম কিনতে হাত পুড়ছে তাঁদের।
জেলার আমপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, আমই এই জেলার প্রধান ফসল অথচ মালদহের বাজার এখন ছেয়ে গিয়েছে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের তোতাপুরি, ভাস্তারা, পরকুল প্রভৃতি কাঁচা আমে। ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির পাইকারি বাজারে সেই আম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। তা জেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে খুচরো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কিলো বিকোচ্ছে। ব্লকের বাজারগুলিতে সেই দাম আরও বেশি। আমের জেলাতেই কাঁচা আম মিলছে না। তাই দক্ষিণী কাঁচা আমই চড়া দামে খেতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, ‘‘গরমের শুরুতে কাঁচা আমের স্বাদই আলাদা। সেটা জেলায় হলে কম দামে কিনতে পারতাম। কী করা যাবে!’’
মালদহ জেলায় ৩১ হাজার হেক্টর জমি আম চাষের এলাকা। ২০১৫ সালে সর্বকালীন রেকর্ড ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হয়। কিন্তু মালদহের বাজারে সেই আম মিলতে মিলতে সেই মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ।
তাই ১২ মাস আম ফলে এমন আম চাষের ব্যবস্থা এই জেলাতে হচ্ছে না কেন? মরসুমের আগে যদি আম ফলত তবে আম চাষিরা ভালো দাম পেতেন। একই প্রশ্ন বণিক মহলেরও। উদ্যানপালন দফতরের অবশ্য আলাদা যুক্তি। জেলা উদ্যানপালন দফতরের সহকারী অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী জানান, বছর ভর আম ফলে এমন ইন্ডিয়ান ভাস্তারা প্রজাতির আমগাছ জেলার বামনগোলা ও হবিবপুর ব্লকে পরীক্ষামূলভাবে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু তেমন ফলন মেলেনি। তাঁর যুক্তি, ‘‘জেলায় শীত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এমনটা হচ্ছে।’’ মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘আমরাও চাই মালদহে সারা বছর আম চাষ হোক। কিন্তু তার ব্যবস্থা তো উদ্যানপালন দফতরকেই করতে হবে।’’