ক্যাম্পাস কণ্টক

ঘটনার পরে আশ্বাসই সার

বছরের পর বছর ধরে আশ্বাসই সার। ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও বসেনি। পুলিশ ফাঁড়ির জন্য জায়গা দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বেহাল নিরাপত্তা ব্যাবস্থার ফলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একের পর এক শ্লীলতাহানির ঘটনার অভিযোগ নিয়ে সরব পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-অধ্যাপক, কর্মীরা সকলেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১১
Share:

ঘটনাস্থলে অভিযোগের তদন্তে শিলিগুড়ি পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

বছরের পর বছর ধরে আশ্বাসই সার। ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও বসেনি। পুলিশ ফাঁড়ির জন্য জায়গা দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বেহাল নিরাপত্তা ব্যাবস্থার ফলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একের পর এক শ্লীলতাহানির ঘটনার অভিযোগ নিয়ে সরব পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-অধ্যাপক, কর্মীরা সকলেই। তাঁদের বক্তব্য, নিরাপত্তা না থাকলে তো এমন হবেই। ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে পর্যন্ত চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন। অথচ কর্তৃপক্ষের হুঁশ নেই। শুক্রবার রাতে এক ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে এক যুবক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরে হস্টেলের ছাত্রীরা অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

শুধু হস্টেলের পড়ুয়ারাই নন, গবেষক ছাত্রীদের অনেক সময়েই সাতটা, আটটা পর্যন্ত গবেষণার কাজ চালাতে হয় বিভিন্ন বিভাগে। ফেরার সময় নির্জন ক্যাম্পাসে অনেক সময়েই বিপদে পড়েন তাঁরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত বহিরাগত। তার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রকল্প পাঠিয়ে সরকারের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ফাঁড়ির জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। কিন্তু সেখান থেকে এখনও সাড়া মেলেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের তরফে অর্থ বরাদ্দ করতে দেরি হলে কি দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি চলবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকেও ওই কাজ করা যায়। উপাচার্যের মত, রাজ্যের তরফে অর্থ বরাদ্দে দেরি হলে তাঁরা নিজেরাই বিষয়টি নিয়ে এগোবেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সপ্তর্ষি বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরাও অবিলম্বে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন।’’ আশ্বাস মতো কাজ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও বিষয়টি নিয়ে সরব। সংগঠনের তরফে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসের সীমানা পাঁচিলটি একাধিক জায়গায় ভেঙে অবাধে বহিরাগতরা যাতায়াত করছে। সদিচ্ছা থাকলেই তা বন্ধ করা যায়।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এর পর আরও বড় কিছু ঘটে গেলে সেই দায় কে নেবে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন