বাগান খুললেও চিন্তা
Tea grdens

লাভ তুলতে দ্বন্দ্বই কাঁটা

বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই বাগান বন্ধ হওয়ার ঘটনাকে যে শ্রমিকেরা ভাল চোখে নেন না, তা গত লোকসভা নির্বাচনে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন চা বলয় এলাকার ভোটাররা।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ১০:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একের পর এক চা বাগান খুলছে আলিপুরদুয়ারে। কিন্তু নতুন কমিটি নিয়ে শুরু হওয়া গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে আগামী বছরের ওই নির্বাচনে দল আদৌ তার ‘ফসল’ তুলতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে খোদ তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা নেতাদের একাংশকে। শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তার পর ঐক্যের ছবি দেখানোর চেষ্টা হলেও বিক্ষুব্ধদের নিয়ে চিন্তা যাচ্ছে না।

Advertisement

চা বাগান অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ারে রাজনৈতিক ক্ষমতা কাদের দিকে থাকবে, তার অনেকটাই শ্রমিকদের ভোটের উপর নির্ভর করে। কিন্তু মালিক-শ্রমিক বিবাদের জেরে উত্তরের এই জেলায় বাগান বন্ধ হওয়ার সমস্যা নতুন কোনও ঘটনা নয়। প্রতিবারই নির্বাচন এলে যে বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা। গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে ভরাডুবি হয় রাজ্যের শাসকদলের। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই বাগান বন্ধ হওয়ার ঘটনাকে যে শ্রমিকেরা ভাল চোখে নেন না, তা গত লোকসভা নির্বাচনে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন চা বলয় এলাকার ভোটাররা।

এই অবস্থায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বন্ধ চা বাগান খুলতে তৎপরতা শুরু হয়েছে শ্রম দফতরে। সম্প্রতি জেলার তিনটি চা বাগান খুলে গিয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের সূত্রের খবর, আরও কয়েকটি চা বাগান খোলা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু নতুন কমিটি নিয়ে সম্প্রতি দলের অন্দরে কোন্দলের জেরে আদৌ বাগান খোলার এই ‘ফসল’ আগামী ভোটে দল নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কায় জেলা নেতাদের অনেকেই।

Advertisement

নতুন কমিটি ঘোষণার পর আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, শিলিগুড়িতে দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সামনে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই শিবিরের নেতারা। কিন্তু ওইদিনের বৈঠক থেকেই দুই শিবিরের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে কড়া বার্তা দেন অভিষেক ও পিকে। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, এই ঐক্য নেতৃত্বকে দেখানোর জন্য কিনা বোঝা যাচ্ছে না। তাই সকলকে সতর্ক থাকতেই হবে। চা বাগানেও পড়ে থাকতে হবে।

তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা অবশ্য বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই তৃণমূলকে সবাই ভোট দেন। আমরা নিশ্চিত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে চা বলয় অধ্যুষিত জেলার পাঁচটি আসনেই জয়ী হব।” মৃদুল গোস্বামীও এ দিন বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সবাই একজোট আছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন