এটিএমে এক টাকায় মিলবে এক লিটার জল

টাকা নয়, এটিএমে মিলছে জল। এক লিটারের দাম এক টাকা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর গোয়াগাঁও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ‘ওয়াটার এটিএম’ পেয়ে খুশি বাসিন্দারা। মার্চ মাসেই উদ্বোধন হতে চলেছে এই ওয়াটার এটিএমের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়ালপোখর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৮ ০৩:০৫
Share:

টাকা নয়, এটিএমে মিলছে জল। এক লিটারের দাম এক টাকা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর গোয়াগাঁও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ‘ওয়াটার এটিএম’ পেয়ে খুশি বাসিন্দারা। মার্চ মাসেই উদ্বোধন হতে চলেছে এই ওয়াটার এটিএমের।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার গোয়ালপোখর এলাকা জেলার মধ্যে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই এলাকায় জলে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। পরিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে প্রায়ই পেটের রোগ-সহ বিভিন্ন রোগে ভোগেন বাসিন্দারা। এর আগে এখানে মার্ক টু টিউবয়েল বসানো হলেও জলের সমস্যা মেটেনি বাসিন্দাদের। সে জন্যই এমন উদ্যোগ বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট চার লক্ষ ৭৭ হাজার টাকার এই প্রকল্প। জেলার মধ্যেই এই পঞ্চায়েতেই প্রথম এমন ওয়াটার এটিএম বসানো হয়েছে। গোয়াগাঁও ২ পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের কাশীনাথ সিংহ বলেন, ‘‘পানীয় জলের এটিএমের কাজ শেষ। উদ্বোধনের অপেক্ষায় সকলে। চলতি মাসে এই এটিএম চালু হতে চলেছে।’’

জানা গিয়েছে, এক টাকার কয়েন দিলেই এক লিটার পানীয় জল পাওয়া যাবে। ৫ টাকায় পাওয়া যাবে পাঁচ লিটার জল। কাশীনাথবাবু বলেন, ‘‘এই এলাকায় পানীয় জলের খুব সমস্যা। পানীয় জলের সমস্যার জন্য পেটের রোগ ডায়েরিয়া-সহ নানা রোগ দেখা দেয়। অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া এই এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে বাজারের জল কিনতে বাধ্য হন। কিন্তু সেই জলও কতটা পরিশুদ্ধ তা নিয়ে কিন্ত সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া সবার পক্ষে এই জল কেনার মতো উপায় নেই। তাই এতে খুবই সুবিধে হবে।’’ এই এলাকা থেকে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার দূরত্ব মাত্র দু’কিলোমিটার। সেখানে বিএসএফের চৌকি রয়েছে। তাঁরাও জলের সমস্যায় ভুগছেন। এই পরিষেবা দেখে খুশি তাঁরাও।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা আজিজুল রহমান বলেন, ‘‘সত্যি জলের জন্য এ টি এম খুব ভালো খবর আমাদের এলাকার জন্য। তবে দাবি জানাব ১ টাকায় ২ লিটার জল দেওয়া হোক। ৫ টাকায় ১০ লিটার জল। আর্থিক দিক পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষদের কথা বিবেচনা করার দাবি জানাব।’’

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, ‘‘ব্যবসার জন্য নয় এই প্রকল্প। মানুষের সেবা দেওয়া মূল লক্ষ্য। মানুষ পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন সেটা বড় কথা। মানুষের দাবি অবশ্য বিবেচনা করা হবে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন এক হাজার লিটার জল সরবরাহ করা হবে। সব গ্রাম পঞ্চায়েত এই প্রকল্প চালু করা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন