একই রাতে দু’টি চুরি হল মালদহের চাঁচলে।
রবিবার রাতে চাঁচলের আশাপুর বাজারে মোবাইল ফোনের দোকানের ছাদ কেটে ভিতরে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বাজার সমিতির তরফে রাত প্রহরার ব্যবস্থা রয়েছে ওই বাজারে। সিভিক ভলান্টিয়াররাও রাতে নিয়মিত প্রহরা দেয় ওই বাজারে। তার মধ্যেই ফাঁড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ওই চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আশাপুর বাজারে ওই চুরির পাশাপাশি একই রাতে বোমপাল প্রাথমিক স্কুলেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের তালা ভেঙে ঢুকে মিড ডে মিলের চাল চুরি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে রবিবার নাকি শনিবার রাতে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে তা অবশ্য পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই নিয়ে গত এক মাসে চাঁচলে মোট সাতটি চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে।
আশাপুর বাজার থেকে বড়জোর এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে খরবা ফাঁড়ি। আশাপুর বাজারে রাজ্য সড়কের দু’পাশে কয়েকশো দোকান রয়েছে। ওই বাজারে মুকুল সাহার মোবাইলের দোকানে এ দিন চুরি হয়েছে। বিষয়টি এ দিন সকালে নজরে আসে ব্যবসায়ীদের।
গত মাসেও চাঁচলের মালতীপুরে রাজ কালীবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। বিগ্রহের গায়ের অলঙ্কার চুরি করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তার দু’দিন বাদেই মালতীপুরে দু’টি দোকানে চুরি হয়। রাসায়নিক স্প্রে করে চাঁচল শহরে এক আইনজীবীর বাড়িতে চুরি হয় কদিন আগেই। শ্রীরামপুরেও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে গত সপ্তাহে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাধা দেওয়ায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছুরিও মারে দুষ্কৃতীরা। ওই চারটি ঘটনায় দুষ্কৃতীদের এখনও কোনও হদিশ করতে পারেনি পুলিশ।
চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, ‘‘চাঁচল শহর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ বাড়ছে। কিন্তু পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।’’ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার-সহ পুলিশি টহলদারি বাড়ানোর জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান দীপঙ্করবাবু।