তন্দুরি নাকি পনির টিক্কা, লড়াই তুঙ্গে

কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় বিশেষ আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে, চিকেন, মটনের একাধিক আইটেম। সঙ্গে থাকছে মাছের রকমারি পদের আয়োজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৬
Share:

ভালবেসে: উপহারের খোঁজে। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

কোথাও বিরিয়ানি, চিকেন তন্দুরির রসনার ডাক। আবার কোথাও সাদা ভাত আর পালং পনির। কোথাও মেনুতে ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে রয়েছে মটন কষা। কোথাও আয়োজন ভেজ দম বিরিয়ানির। আয়োজন রয়েছে ভেজ মোমো, পেঁয়াজ ছাড়া ঘুগনিরও। এ বার একই দিনে পড়েছে শিবরাত্রি এব‌ং ভ্যালেন্টাইনস ডে। উৎসাহীদের রসনার তৃপ্তির জন্য আমিষ হোক বা নিরামিষ, রয়েছে সবরকমের ব্যবস্থাই। কোচবিহার ও শিলিগুড়ির রেস্তোরাঁগুলোতে ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং শিবরাত্রির দিনে আয়োজন এমনই।

Advertisement

কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় বিশেষ আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে, চিকেন, মটনের একাধিক আইটেম। সঙ্গে থাকছে মাছের রকমারি পদের আয়োজন। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহের একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানেও থাকছে নিরামিষ, আমিষ দুই পদেরই বাহার। পনির বাটার মশলা, পনির দোপেঁয়াজাকে সঙ্গত দিতে রয়েছে মালাইকোপ্তা, কাশ্মীরি আলুরদম, ভেজ জয়পুরি, নার্গিস কোপ্তা। পিছিয়ে নেই নিরামিষও। থাকছে চিকেন আঙ্গারা, চিকেন টিক্কামশলা, মটন দহিওয়ালার মতো পদ। ভূষণবাবু বলেন, “বিশেষ দিনে বিশেষ আইটেম রাখা হয়। এ বার সবের ব্যবস্থাই রয়েছে।” শহরের আরেকটি অভিজাত রেস্তোরাঁ রয়েছে রাজু ঘোষের। তিনি বলেন, “যেই আসুক, তাঁর পছন্দ অনুযায়ী খাবার মিলবেই রেস্তোরাঁয়।”

শিলিগুড়িতে বিধান রোডে পানিট্যাঙ্কি মোড়ের অদূরে হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে বাবলা ঘোষের। তিনি বলেন, ‘‘শিবরাত্রি ও ভ্যালেন্টাইনস ডে’র মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। তাই পোস্ত থেকে চাইনিজ সব রয়েছে।’’ জানালেন, থাকছে শিবরাত্রি স্পেশাল নিরামিষ পদও।

Advertisement

হিলকার্ট রোডের একটি চিনা খাবারের রেস্তোরাঁর কর্ণধার জানান, শিবরাত্রির জন্য দিনের বেলায় বুকিং কিছুটা কম। কিন্তু তাঁর ভরসা ভ্যালেন্টাইনস ডে। বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পরে ভিড় পুষিয়ে দেবে।’’

পদের আয়োজনে পিছিয়ে নেই ফুটপাতের দোকানের আয়োজনও। সাগরদিঘি পাড় থেকে শুরু করে পূর্ত দফতরের মোড় সব জায়গাতেই আমিষ ও নিরামিষের লড়াই। কোথাও চিকেন মোমোর পাশে জায়গা দখল করেছে ভেজ মোমো। চপের দোকানে মোচার চপকে পাল্লা দিচ্ছে মটন চপ আর চিংড়ির চপ। শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের এক মোমো বিক্রেতা আজকের জন্য দ্বিগুণ পরিমাণ ভেজ মোমো তৈরি করবেন।

পাশের ফুচকা বিক্রেতা মুকেশ শর্মার মুখ একটু ভার, কারণ বিক্রি মঙ্গলবার থেকেই কমেছে। বলেন, ‘‘শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে অনেকেই নিরামিষ শুরু করে দিয়েছেন। হয়তো তাই।’’ আরও বলেন, ‘‘আখওয়ালা চাচার বাজার জমতে পারে। উপোসীরা আখ, ডাবের রস খেয়ে থাকেন।’’ শুনে মৃদু হেসে ‘চাচা’ বললেন, ‘‘নিরামিষ ফুচকাও তো হচ্ছে। ওটাই কর না।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘শুধু তেঁতুল জলটা যা ফেলে দিতে হবে। শিবরাত্রির পরেই তো বাজার ফিরবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন