রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য ইলিশ এনেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে খবর জানেন কোচবিহারের বাসিন্দারা। বাজারে অবশ্য পদ্মার সেই ইলিশের দেখা নেই। নেই ডায়মন্ডহারবার, ওড়িশা বা গুজরাটের ইলিশও। না থাকারই কথা, কারণ ইলিশের মরসুম তো এখন নয়। তাই নববর্ষে হিমঘরে মজুত ইলিশই ভরসা। তাই সেই ইলিশের কদরও এখন তুঙ্গে।
হিমঘরের ইলিশেরই নানা পদ তৈরি করা হচ্ছে হোটেলগুলিতে। কেউ ইলিশ ভাপা, কেউ ইলিশ পাতুরি, কেউ কেউ আবার দই ইলিশও রাখছেন। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের অভিজাত হোটেল ব্যবসায়ী রাজু ঘোষ বলেন, “নববর্ষের উৎসব তো শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিড় বাড়ছে। আমরা মাছের নানা রকম পদ রেখেছি। তার মধ্যে ইলিশের চাহিদা সব থেকে বেশি।”
ব্যবসায়ীদের কাছেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে মাছ মজুত করার হিমঘর নেই। যে ইলিশ এখন বাজারে মিলছে তার বেশির ভাগটাই ওড়িশার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কলকাতা থেকেও ইলিশ আসছে। পাঁচশো থেকে এক কেজি দেড় কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে। ওজন অনুসারে দাম ঠিক হচ্ছে। পাঁচশ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আটশো টাকা কিলো দরে। এক কেজি বা তার বেশি ইলিশের দাম হাজার থেকে পনেরোশো টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী রবীন দাস জানান, এই সময় নদীতে মাছ মারা নিষেধ। তাই ইলিশের জোগান নেই। তিনি বলেন, “নববর্ষের জন্য এখন ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু এই সময় নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এইজন্য হিমঘরে মজুত ইলিশ আনা হচ্ছে।” মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে জানা গিয়েছে, ইলিশ বাজারে উঠতে কমপক্ষে আরও এক মাস।
দিনহাটা মহকুমা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “নতুন বছর শুরুর দিন পাতে একটু ইলিশ হলে ভাল হয়। কিন্তু সেই সঙ্গে ইলিশ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। ছোট ইলিশ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। এই সময় না হয় একটু হিমঘরের ইলিশেই চলল।”