Patient Death in Cooch Behar

বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু ১৪ বছরের বালিকার!

শুক্রবার কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে শোরগোল। চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের দাবি করেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ২০:০৯
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণরক্ষা করে পরিবারের সকলে বাড়ি ফিরছিল। তার মধ্যেই পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। ১৪ বছরের মেয়ের শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তিও নিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর মিনিট পাঁচেকের মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করল পরিবার। শুক্রবার এ নিয়ে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে শোরগোল। চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের দাবি করেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

দেবস্মিতা সাহার বাড়ি কোচবিহারের বক্সিরহাট থানা এলাকায়। নাবালিকার দাদা শুভম সাহা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে বোনকে ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁরা। জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক অল্প সময়ের ব্যবধানে পাঁচটি ইঞ্জেকশন দেন দেবস্মিতাকে। তার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে মৃত্যু হয় মেয়েটির। মৃতার দাদা বলেন, ‘‘একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম সকলে। রাতে সেখান থেকে ফেরার সময় হঠাৎ করে বোনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমরা ওকে নিয়ে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে যাই। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যে ডাক্তার ছিলেন, তিনি নার্সদের দিয়ে পাঁচটি ইঞ্জেকশন দেন বোনকে। তার অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যে জানানো হয়, বোন মারা গিয়েছে। আর ওই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক জরুরি বিভাগ থেকে চলে যান।’’ মৃতার পরিবারের আরও অভিযোগ, তাঁর ভুলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই চিকিৎসক জরুরি বিভাগ থেকে সরে পড়েন।

শুক্রবার মৃতার পরিবার হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায়। ওই চিকিৎসকের লাইসেন্স যাতে বাতিল হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে তারা। অন্য দিকে, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বিবি ঘরামি বলেন, ‘‘ওই রোগীকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন তার শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। এর আগেও সংশ্লিষ্ট রোগীর অন্য হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে চিকিৎসা হয়েছে। যতটুকু সময় পাওয়া গিয়েছিল, তাতে রোগীর যা যা শারীরিক পরীক্ষা করার প্রয়োজন, তা হয়ে ওঠেনি। তার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু এতে চিকিৎসকদের কিছু করার ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement