Sabina Yeasmin

‘বাপ-মা শাসন করার পরও একটা কুলাঙ্গার বেরোয়’! বালুর গ্রেফতারির পর মন্ত্রী সাবিনার নিশানায় কে?

১০০ দিনের কাজের ‘বকেয়া’ টাকার দাবিতে পথসভা করেন সাবিনা। তার মধ্যেই মন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে বিভিন্ন মামলায় ইডি-সিবিআই তদন্ত এবং নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৪
Share:

সাবিনা ইয়াসমিন। —ফাইল চিত্র।

দলের একের পর এক নেতা এবং মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি-সিবিআই হানা হচ্ছে। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় কাউকে কাউকে ডেকেও পাঠানো হচ্ছে। সম্প্রতি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্যে শোরগোল শুরু হয়েছে। সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা বলছেন, প্রত্যেক দলে কিছু ‘কুলাঙ্গার’ থাকেন। তৃণমূলেও আছে। তার জন্য অন্যেরা দায়ী নন। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল সাবিনার ওই ভিডিয়ো। ঠিক কাকে নিশানা করে এই মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী?

Advertisement

সম্প্রতি মালদহের কালিয়াচক থানার অলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজের ‘বকেয়া’ টাকার দাবিতে পথসভা করেন সাবিনা। মঞ্চ থেকে ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র প্রতিবাদ করেন তিনি। তার মধ্যেই মন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে বিভিন্ন মামলায় ইডি-সিবিআই তদন্ত এবং নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। যদিও কারও নাম নেননি সারমিন। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমার বাড়িতে যদি কুলাঙ্গার ছেলে বেরোয়, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে। বাপ-মা শাসন করার পরও একটা কুলাঙ্গার ছেলে বেরিয়ে যায়। তাতে বাবা-মা কী করবে?’’ সাবিনার সংযোজন, ‘‘ঠিক তেমনই আমাদের পার্টিতেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলেমেয়ে আছে। কিন্তু, যে পাপ করবে সে-ই প্রায়শ্চিত্ত করবে। দল কি কাউকে বলেছে টাকা নিতে? তার জন্য দল দায়ী নয়। তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দায়ী নন।’’

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, বিভিন্ন মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। কেউ কেউ তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন। তাঁদের কাউকে কি নিশানা করলেন সাবিনা? মন্ত্রীর দাবি, নির্দিষ্ট করে কাউকে তিনি কিছু বলেননি। পুরোটাই তদন্তের বিষয়। কিন্তু, অনেকে নেতা-মন্ত্রীর নামে টাকা তুলে থাকেন। তাঁদের ‘সাবধান’ করেছেন। সাবিনার ব্যাখ্যা, ‘‘ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাদের নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে আমরা তো আগেই জানিয়েছি, এই সব অভিযোগের কোনও সত্যতা প্রমাণিত হলে দল তাঁর পাশে থাকবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement