উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে নজরদারির জন্য কুলিদের সাহায্য চাইল রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)।
রবিবার মালদহ স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে একাধিক তাজা বোমা উদ্ধারের পর নড়চড়ে বসেছেন আরপিএফ অফিসারেরা। মঙ্গলবার বাহিনীর কাটিহার ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার মহম্মদ সাকিব এনজেপি স্টেশন ও এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সেই সময় তিনি স্টেশনের কুলিদের সঙ্গেও কথা বলেন। স্টেশন চত্বর, প্ল্যাটফর্ম, প্রতিক্ষালয়, কাউন্টারের মতো এলাকাতে সন্দেহজনক ব্যক্তি বা কিছু দেখলেই আরপিএফ অফিসে খবর দেওয়ার জন্য তিনি কুলিদের অনুরোধ করেন।
সিকিউরিটি কমিশনার বলেন, ‘‘আটোসাঁটো নজরদারির জন্য রেলের সঙ্গে জড়িত সকলের সাহায্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে কুলিরা অন্যতম। কারণ, ভোর থেকে রাত কুলিরাই সর্বত্র ঘুরে বেড়ান। যাত্রী, বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। ওদের মাধ্যমে খবর আরও দ্রুত আসবে।’’ এর পরেই তিনি জানান, কুলিদের মতো মানুষ চেনার দক্ষতা অনেকেরই নেই। সেই দক্ষতাকে তাঁরা কাজে লাগাতে চাইছি।
আরপিএফ সূত্রে খবর, এনজেপি স্টেশনেই শতাধিক কুলি রয়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা এই কুলিরা বংশপরম্পরায় স্টেশনে কাজ করে চলছেন। রেল পুলিশ এবং আরপিএফের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ থাকে। কোথাও কোনও গোলমাল দেখলেই পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু আরপিএফ চাইছে, কুলিকের নাম-নম্বর দিয়ে একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে। কুলিরা নিজেদের মধ্যে এলাকা ভাগ করেও কাজ করেন। তাই বিভিন্ন এলাকার খোঁজখবর সেই সংশ্লিষ্ট কুলিদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে রাখা হবে। কাটিহার ডিভিশনের কাটিহার, যোগবাণী, মালদহ, এনজেপি-র মতো বড় স্টেশনগুলিতে এই ব্যবস্থা করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। কুলিরা ছাড়াও স্টেশনের ব্যবসায়ী, রেল লাইনের দুই পাশে গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়েই নেটওয়ার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিন সিকিউরিটি কমিশনার পার্সেলভ্যান, লিজ নেওয়া কামরা, লাগেজ এরিয়ায় আরও তল্লাশির নির্দেশ দেন। পরে আরএপিএফের দফতরে গিয়ে কাজ খতিয়ে দেখেন। তেমনই, খোঁজখবর নেন ডগ স্কোয়াডের। নতুন করে কোথায় যাতে দখলদার না বসে, তা দেখার কথা বলেন। তিনি জানান, আমাদের দু’টি স্নিফার ডগ রয়েছে কিন্তু ডিসেম্বরে তারা অবসর নেবে। তাই মালিগাঁও থেকে আরও দুটি স্নিফার ডগ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।