সাক্ষাৎ: স্বপ্না বর্মণের মাকে সম্মান জানাচ্ছেন সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচটি শাড়ি এবং এক ঝুড়ি ফল বাসনা বর্মনের হাতে তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বললেন, “এ সবই আপনার জন্য, স্বপ্নার মায়ের জন্য। স্বপ্নাকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই পুরস্কৃত করবেন।”
এশিয়াডে হেপ্টাথলনে সোনা জয়ী স্বপ্না বর্মনের বাড়িতে শনিবার দুপুরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ অহলুওয়ালিয়া। তাঁর মারফত প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, সে কথা ভিডিয়ো কলে স্বপ্নাকে বলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলিয়েছেন বাসনা দেবীকে। ঠিক ছিল ৩ সেপ্টেম্বর স্বপ্না কলকাতায় ফিরবেন। তারপর জলপাইগুড়িতে ফেরার কথা ছিল তাঁর। অহলুওয়ালিয়া জানিয়েছেন, আপাতত তেমনটা হচ্ছে না। ৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে স্বপ্নাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। পরদিন প্রধানমন্ত্রী দেখা করবেন স্বপ্না বর্মণের সঙ্গে।
এ দিন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী স্বপ্নার মা বাসনা দেবীকে টেলিফোনে জানান কেন্দ্রীয় সরকার এই সাফল্যের জন্য স্বপ্নাকে ৩০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও দফতরে স্বপ্না চাকরি পেতে পারে বলেও জানানো হয়। অহলুওয়ালিয়া বলেন, “রেলের চাকরি বেছে নিলেই ভাল হবে। বাকিটা স্বপ্নার ইচ্ছে।” যদিও স্বপ্নার মা বাসনা বর্মন অহলুওয়ালিয়া বলেন, “স্বপ্নাকে আশীর্বাদ করুন যেন অলিম্পিকেও সফল হতে পারে।“
স্বপ্নার সঙ্গে এ দিন সকালেও তাঁর মায়ের কথা হয়েছে। এ দিন স্বপ্না কয়েকটি দাঁতও তুলেছে বলে জানিয়েছে। সে কারণে দুপুরের পরে কথা বলতে পারছে না। স্বপ্নার বাড়ির ভিতরে আলো দিয়ে সাজিয়েছে এসজেডিএ। গ্রামে ঢোকার মুখে তোরণও বসানো হয়েছে। দিনের সব সময়েই ভিড় লেগে রয়েছে বর্মণ বাড়িতে।
এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথোপোকথনের সময় ঘুরেফিরে এসেছে সদ্য প্রয়াত ক্রীড়া সংগঠক সমীর দাসের কথা। ছোট থেকে সমীর দাসের তত্ত্বাবধানেই স্বপ্না খেলা শুরু করেন। বাসনা দেবী বলেন, “সমীরবাবু স্বপ্নাকে মেয়ের মতো করে যত্ন করতেন। আজকের দিনে ওনার অভাব বোধ করছি।”